প্রকাশ: শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২, ৮:৪১ পিএম আপডেট: ১২.০৩.২০২২ ৯:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আত্মহত্যার আগে দু’টি চিঠি লিখে গেছেন আশামনি। একটিতে লিখেছে- ‘মা, আমার সাথে ওয়াহাব চেয়ারম্যানের ভাতিজা আজকের দিন এক রুমে কাটাইছে। ও আমাকে খুব ডিস্টার্ব করতো। ও আমারে বলছে, ওর সঙ্গে দেখা করলে সে আমার জীবন থেকে চলে যাবে। কিন্তু ও আমার সঙ্গে খুব খারাপ কিছু করছে, যা বলার মতো না। বাবা-মা তোমরা ভালো থেকো। আর ছেলেটির নাম তামিম। ইতি তোমাদের আদরের আশামনি।’
অন্যটিতে লিখেছে- ‘মা, পারলে ক্ষমা করো। যদি কোনো বিচার করো, ছেলেটার নাম তামিম আহমেদ শপন খান। মা-বাবা তোমরা ভালো থেকো। আমাকে ভুলে যেও। আমি বেঁচে থাকলে তোমাদের সম্মান শেষ হয়ে যেতো। বাবা-মা আবার বলছি ভালো থেকো। গুড বাই, সোনা বাবা মা।’
চেয়ারম্যানের ভাতিজা তার সঙ্গে যা করেছে তাতে মা-বাবার সম্মান নষ্ট মনে করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার পূর্বে লিখে গেছে একটি সুইসাইড নোট, যা কয়েক ঘন্টার ব্যাবদানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কলিজা ছোঁয়া মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার মেলান্দহ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড পূর্ব শাহাজাতপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির লাশ এবং সুইসাইড নোট উদ্ধার করে করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় কারনে লম্পট তামিমের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করেছে মেলান্দহ পৌরসভার মানুষ। শুক্রবার সকালে মেলান্দহ থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। পরে সন্ধ্যার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাকে ঝুলন্ত থাকতে পান স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রাতে লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার বিকালে মেয়েটির দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত মেয়েটির বাবা তামিম আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমএম ময়নুল ইসলাম জানান বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে।