জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ডাইনিং এর খাবার আবাসন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শৌচাগার ব্যবস্থাপনা সবখানে ব্যপক অবহেলা আর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে আগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহার হলের প্রভোস্ট কক্ষে না থাকা এবং হলের খোঁজ খবর না রাখার ও। নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকা সত্বেও বর্তমান হল প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা এই সমস্যা গুলো কর্ণপাত না করারও অভিযোগ রয়েছে।
অথচ, নিয়োগ শর্তের ২ নাম্বারে স্পষ্ট উল্লেখ করে বলা আছে, প্রভোস্ট কে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিয়োগ শর্তের কোন তোয়াক্কা না করেই চলছে অগ্নিবীণা হল।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মো. শাকিল রানা জানান যে, হলের আবাসন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শৌচাগার ব্যবস্থাপনা সবখানে ব্যপক অবহেলা আর অনিয়মের ছাপ দেখতে পাই আমরা। হলের ওয়াশরুম গুলার এতো বাজে অবস্থা যে, সেগুলার কাছেই ভেরা যায় না। বিশেষ করে নিচ তলার ওয়াশ রুম গুলা। হলের খাবারের মান নিয়ে তো অনেক প্রশ্ন আছেই। অগ্নিবীণা হলের খাবার নিয়ে প্রায়শই অনিয়ম লক্ষ করা যাচ্ছে।
অনেক রুম গুলা তে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা টুকু নাই। ছাত্রদের নিজস্ব উদ্যোগে বাহির থেকে বেড কিনে এনে নিজেদের থাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। হলের Wi-Fi ব্যবস্থাপনার তো বেহাল দশা। বর্তমান হল প্রভোস্ট স্যারকে নিজ কক্ষে পাওয়াই যায় না। উনি নাকি ময়মনসিংহে থাকেন। স্যার আপনাকে বলি, যদি ময়মনসিংহেই থাকা লাগে তাহলে এই দায়িত্ব নেওয়ার কি দরকার? প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুন।
জাককানইবি আরেক শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম বলেন,প্রায় সময় অগ্নিবীনার হলের খাবার মান খুবই খারাপ থাকে। প্রভোস্ট থাকেন না,খাবারের কোনো খোঁজ খবর নেন না। আজ দেখা যাচ্ছে খাবারের মধ্যে পোকা মাকরও পাওয়া যায়। যেখানে ছোটমাছের কথা বলে শুধু আলু দিয়ে তরকারি রান্না করা হয়।
আরেক শিক্ষার্থী সালমান শাহ্ বলেন, হলের খাবারের মান কি আদৌ পরীক্ষা করা হয়? নাকি লোক দেখানো একদিনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাতারে খেয়ে শিরোনামে আসা হয়? আর ওয়াশরুমের কথা কি বলবো!
দায়িত্বের অবহেলার বিচার কি আদৌ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন করতে পারবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, খাবার নিয়ে যে অভিযোগ তা হলো বঙ্গবন্ধু হল বন্ধ থাকায় এখানে শিক্ষার্থীদের খাবারের চাপ অনেক বেশি। সামগ্রিক ভাবে অল্প লোকের এখানে খাওয়ানোর কথা। এত লোক সামলানো কঠিন। আর আমি আগেও বলেছি কোন অভিযোগ থাকলে ফেসবুকে না লিখে আমাকে সরাসরি জানানোর জন্য।
ক্যাম্পাসে না থাকা নিয়ে বলেন, এগুলো বিভিন্ন লোকের কথা থাকবেই। আমার তো বাসারও দরকার আছে।
আবাসন সংকট সম্পর্কে বলেন, এগুলো তো আর রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে না। আস্তে ধীরে করতে হবে। আমাদের কে জানাতে হবে। আমি এগুলো নিয়ে একটা জরিপ করছি স্যারদের জানিয়েছি, দেখি এগুলো কিভাবে ঠিকঠাক করা যায়।