প্রকাশ: শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২, ৮:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিনই বেড়েই চলেছে। তাদের দৌরাত্ম্যে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। চিকিৎসকের কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২:৩০টা পর্যন্ত কোন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির প্রবেশ করা নিষেধ থাকলেও মানছেনা কেউ? রোগীরা বের হলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে করা হচ্ছে টানাহেচড়া এতে রোগীরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছেন।
শনিবার ১২ মার্চ সকালে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের ভিতরে ও সামনে ঔষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই আছে। নির্দিষ্ট সময়ের বাহিরে তারা ভিজিট করে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় বেঘাত ঘটাচ্ছেন। দেখা গেছে, যখন রোগী টিকেট কেটে চিকিৎসা সেবার জন্য চিকিৎসকের কক্ষে যান তখন আট দশ জন প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে এবং ভিতরে দাঁড়িয়ে ভিড় জমিয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। এর বাহিরে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে এসব প্রতিনিধিদের নানান দৃশ্য।
সরকারি এ হাসপাতালটিতে যখন বিভিন্ন রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে টিকেট নিয়ে ফিরে যান তখন দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা ওইসব রোগীদের পথে দাঁড় করিয়ে তাদের হাতের টিকেট টেনে নিয়ে ওই টিকেটের ছবি তুলে রাখেন। প্রায়ই দেখা গেছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের কারণে রোগীরা সে ভিড়ে ঠেলে কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। আবার ভেতরে প্রবেশ করলেও দেখাযায় সেখানে চলছে ভিজিট। এভাবেই প্রতিদিন সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলছে। আর প্রতিনিয়ত দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
ইনসেপ্টা কোম্পানির প্রতিনিধি সুশীল কুমার বিশ্বাস বলেন, হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাদেরকে একটা থেকে আড়াইটার মধ্যে ডাক্তারের সাথে ভিজিট করার অনুমতি দেয়। কিন্তু কোন কোম্পানির সার্ভে থাকলে ওই কোম্পানি হাসপাতালের আরএমও বা তত্ত্বাবধায়কের কাছে ফোন করে অনুমতি নেয় তারপর আমরা ভিজিটে আসি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী বলেন, আমি ডাক্তারের কক্ষে আসি সেখানে দেখি ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কেউ বসে কেউ দাড়িয়ে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা কথা বলছেন। দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর কক্ষে ঢুকে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেই।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুস সোবহান বলেন, হাসপাতাল চলাকালীন সময়ে তাদের ভিতরে আসার কোনো নিয়ম নেই। তারা ভিতরে আসছে এ বিষয়টা আগে আমার নজরে আসে নাই আমি এখনই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
নতুন বছরে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির আরও পরিবর্তন দেখতে চাই: উৎপল দাস
২০২৩ সালে বাংলাদেশে আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
আগামী দিনের বাংলাদেশ হোক অসাম্প্রদায়িক চেতনার
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের গাড়ি
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা, সম্পাদক শ্যামল
হারানো দিনের উপাখ্যান 
