সোমবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা আনার লড়াই বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করেছিলেন। ১৯৬২ সালেও দেশ স্বাধীন করার জন্য তিনি একবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু এমন একটি সময় ছিল যখন এ ঐতিহাসিক দিনটিও নিশ্চিহ্ন ছিল। শুধুমাত্র ৭ মার্চের ভাষণ শোনার জন্য অনেক নেতাকর্মীকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস পড়েছে। ইতিহাস থেকে ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সত্যকে কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারে না। ঠিক যেমন বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন- বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ৫০ বছর পর্যন্ত এ ভাষণটি আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছে এবং এখনও অনুপ্রেরণা দিয়ে যায় বাংলাদেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন। এখন বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
আর কেউ কোনোদিন ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না, এই ভাষণ বিশ্বে চিরন্তন হয়ে থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ, এই স্বাধীনতা আর কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না, আজকের প্রজন্ম বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত, তাদের আর বিভ্রান্ত করা যাবে না, হয়ত ২১ বছর করেছিল এখন আর পারবে না, প্রযুক্তির যুগে আর অন্ধকারে তাদের নেওয়া সম্ভব না।