একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন চাই আমরা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে আমাদের সার্চ কমিটির তরফ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে যে ১০ জনের নাম সুপারিস করেছেন এবং তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন যে এই মাসের ২৪ তারিখের মধ্যেই তারা তাদের আরদ্ধ কাজ সম্পন্ন করবেন এবং তারা এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা তাদের কাজ শেষ করেছেন। দেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। কে পছন্দ করলো, কেউ করলো না, এটা যার যার ব্যাপার। কিন্তু কাদেরকে নির্বাচন কমিশনে বসানোর জন্য নির্বাচিত করবেন এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির ব্যাপার।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬২৫তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন চাই। অর্থাৎ মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবে, যেখানে পরিবেশ সন্ত্রাসমুক্ত থাকবে এবং অত্যন্ত সাবলীল নির্বাচন সম্পন্ন করা; এইসকল কাজ যারা করতে পারবে তাদেরকেই আমরা নির্বাচন কমিশনে দেখতে চাই। বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ আওয়ামী লীগ সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বলে মনে হয়। এটি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক সমঝোতার মানসিকতাকেই তুলে ধরে। ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’-এর মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে এসেছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোরও সমঝোতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রত্যয়ে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে উদ্যোগী হয়েছেন এবং বিরোধী দলগুলোর সুপারিশ গ্রহণ করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক ধারাকে অক্ষুণ্ন রাখতে সচেষ্ট হয়েছেন।