প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার তালতলীতে বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে সিজারের সময় চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের ডান হাত ভেঙে যাওয়ায়র অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ভাঙছে তার পরিবার। অভিযোগের বিষয় বৃহস্পতিবার (২৪ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.সাখাওত হোসেন(তপু)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১২ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী চেকআপ করানোর জন্য বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে আসেন। ঔ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. সৈয়দ কামরুজ্জামান অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিজার করার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী পরিবার থেকে তাৎক্ষণিক সিজার করার জন্য অনুমতি দেয়। অনুমতি পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যা ৪ টায় চিকিৎসক সিজারের জন্য ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের বেডে মা ও নবজাতককে হস্তান্তর করেন।বেডে নবজাতকের কান্নাকাটি শুরু হয় কোন মতে কান্নাকাটি না থামায়। সিজারের সময় চিকিৎসকের অদক্ষতা ও চরম অবহেলার কারণে নবজাতক শিশুটির ডান হাতের কুনইয়ের উপরের ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছেন নবজাতকের দাদা আবু হানিফ।
সেই রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মা ও নবজাতককে অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কোনো উপায় না পেয়ে নবজাতক শিশুটিকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নেয় তার পরিবার। সেখানকার চিকিৎসক বলেন শিশুদের হাত ভেঙে গেছে। এরপর পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে নবজাতক শিশুর দাদা আবু হানিফ বাদী হয়ে ডা.সৈয়দ কামরুজ্জামানসহ হাসপাতাল কতৃপক্ষকে আসামী করে তালতলী থাকায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ
তালতলী অ্যাপোলো হাসপাতালের মালিক মো. ফাহিম জানান, সিজার হয়েছে সন্ধ্যা ৭টায় রাত ১১টায় তারা শিশুটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন।
তখন ডাক্তার শিশুটির হাত ভাঙা দেখে দ্রুত পটুয়াখালী হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে বলেন, নবজাতকের আত্মীয়-স্বজনের কারণেই হাত ভেঙে গেছে শিশুটির।আর আমাদের হাসপাতাল থেকে ঐ রোগী এক সপ্তাহে আগে চলেগেছেন। এতদিন কোন কোন অভিযোগ ছিলোনা গত কাল তারা ইসলামিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. নুসরাত জাহানের কাছে গিয়ে ছিলো তারপরেই তারা আমাদের এই কথা বলছে। এখন আমার প্রশ্ন এতদিন পর আমাদের হাসপাতালের নামে কেন এই অভিযোগ?
১২ দিন তারা বলেনি কেন?
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।