রাশিয়ার হামলা শুরুর আশঙ্কার মধ্যে গতকাল বুধবার ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এক মাসের এ জরুরি অবস্থা চলাকালীন সরকার কারফিউ জারি করা ছাড়া প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার কিছু সময় পর। এরপর মোট চার থেকে পাঁচবার বিস্ফোরণে ঘটেছে বলে বিবিসি, সিএনএন-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত বিমানবন্দরে সম্ভবত হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে, এক সরকারি কর্মকর্তা বিদেশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিমানঘাঁটি ও সামরিক সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়েছে।
রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও অন্যান্য স্থান থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করেছেন পুতিন। দিমিত্রি কুলেবা জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন আত্মরক্ষা করবে। তিনি বলেন, পুতিনকে থামাতে হবে এবং বিশ্ব অবশ্যই তা পারবে।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন এবং রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য।
বৃহস্পতিবার সকালে টেলিভিশনের এক ভাষণে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান তিনি।
পুতিন সেখানকার সেনাদের অস্ত্র নামিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যে কোনো ধরনের রক্তপাতের জন্য দায়ী থাকবে ইউক্রেন।