বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণে যা কিছু হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো সুন্দর ও এতো সুস্থ জবাবদিহিতার আদলে এই নির্বাচন কমিশন প্রক্রিয়াটি করা হচ্ছে যেখানে বিরোধীদলের একজন সংসদ সদস্যের দেওয়া নামের উপর ভিত্তি করে এই নির্বাচন কমিশনের নামকরণ করা হয়েছে, সে জায়গায় এটা বাংলাদেশের জন্য গণতন্ত্রের একটা নতুন দিক উন্মোচন করেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬২৪তম পর্বে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি সদস্য অ্যাড. আবদুল কুদ্দুস বাদল, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকে সংলাপের বিষয় ‘কেমন নির্বাচন কমিশন চাই’ খুবই চমৎকার। আমি জনকণ্ঠ পত্রিকায় আমি এটা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেখানে আমি বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করা আছে। আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা স্পষ্ট বলা থাকলেও নির্বাচন কমিশন গঠন আইনটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পর পেল জাতি। বঙ্গবন্ধু একটি জাতি গঠনে সংবিধান প্রণয়ন করলেন। তাঁর দেখানো পথ ধরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন আইন বাস্তবায়ন করল। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। এই নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াটি এতো সুন্দরভাবে এতো স্বচ্ছভাবে করা হচ্ছে তা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। আধুনিক গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নির্ভর করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর। আর নির্বাচন ব্যবস্থার ওই গুণাবলী নির্ভর করে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ওপর। সদ্য পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন আইন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অন্যন্য মাইলফলক। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণে যা কিছু হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। আজকে যেভাবে এই প্রক্রিয়াটি হতে যাচ্ছে এটা আসলেই একটা নজিরবিহীন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো সুন্দর ও এতো সুস্থ জবাবদিহিতার আদলে এই নির্বাচন কমিশন প্রক্রিয়াটি করা হচ্ছে যেখানে বিরোধীদলের একজন সংসদ সদস্যের দেওয়া নামের উপর ভিত্তি করে এই নির্বাচন কমিশনের নামকরণ করা হয়েছে, সে জায়গায় আমি তো মনে করি এটার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য গণতন্ত্রের একটা নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে।