বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মেরুদণ্ড সম্পন্ন নির্বাচন কমিশন চাই
#বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #এবারের নির্বাচন কমিশন অতীতের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হবে: অ্যাড. আবদুল কুদ্দুস। #ভোটারদের ভোটকেন্দ্রমুখী করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণে যা কিছু হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো সুন্দর ও এতো সুস্থ জবাবদিহিতার আদলে এই নির্বাচন কমিশন প্রক্রিয়াটি করা হচ্ছে যেখানে বিরোধীদলের একজন সংসদ সদস্যের দেওয়া নামের উপর ভিত্তি করে এই নির্বাচন কমিশনের নামকরণ করা হয়েছে, সে জায়গায় এটা বাংলাদেশের জন্য গণতন্ত্রের একটা নতুন দিক উন্মোচন করেছে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৬২৪তম পর্বে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট,  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি সদস্য অ্যাড. আবদুল কুদ্দুস বাদল, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকে সংলাপের বিষয় ‘কেমন নির্বাচন কমিশন চাই’ খুবই চমৎকার। আমি জনকণ্ঠ পত্রিকায় আমি এটা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেখানে আমি বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করা আছে। আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা স্পষ্ট বলা থাকলেও নির্বাচন কমিশন গঠন আইনটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পর পেল জাতি। বঙ্গবন্ধু একটি জাতি গঠনে সংবিধান প্রণয়ন করলেন। তাঁর দেখানো পথ ধরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন আইন বাস্তবায়ন করল। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। এই নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াটি এতো সুন্দরভাবে এতো স্বচ্ছভাবে করা হচ্ছে তা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। আধুনিক গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নির্ভর করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর। আর নির্বাচন ব্যবস্থার ওই গুণাবলী নির্ভর করে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ওপর। সদ্য পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন আইন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অন্যন্য মাইলফলক। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণে যা কিছু হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। আজকে যেভাবে এই প্রক্রিয়াটি হতে যাচ্ছে এটা আসলেই একটা নজিরবিহীন প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো সুন্দর ও এতো সুস্থ জবাবদিহিতার আদলে এই নির্বাচন কমিশন প্রক্রিয়াটি করা হচ্ছে যেখানে বিরোধীদলের একজন সংসদ সদস্যের দেওয়া নামের উপর ভিত্তি করে এই নির্বাচন কমিশনের নামকরণ করা হয়েছে, সে জায়গায় আমি তো মনে করি এটার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য গণতন্ত্রের একটা নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে।

অ্যাড. আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমি একটা কথা সবসময় বলি যে, দুর্বল চিত্তের মানুষ কখনোই স্বপ্ন দেখতে পারেনা। আমি এমন কোন নির্বাচন কমিশন দেখতে চাই না যে নির্বাচন কমিশন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকবে। যেহেতু এটা একটি সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশন সেহেতু এই নির্বাচন কমিশন এমন একটি নির্বাচন কমিশন হবে যে নিজের মেরুদণ্ডের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য ভবিষ্যৎ যে নির্বাচন গুলো আসবে সেই নির্বাচনকে জনগণের কাছে উপহার দিতে পারবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের আশা, প্রত্যাশার জায়গা তারা পূরণ করতে পারবে। ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশনে যে চিফ নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এদের মধ্যে আমলাদের বিষয়ে আমার বেশি আপত্তি আছে। কারণ এদের মধ্যে অনেকেই মেরুদণ্ডহীন কার্যকলাপ চালিয়েছে আমার মতে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি ডিফেন্স থেকে বা অন্য কোন পেশা থেকে আসা তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে যারা নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার উপর দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারবে এই রকম একটা নির্বাচন কমিশন চাই আমরা। ইতিমধ্যে যাদের নাম আমরা শুনেছি তার উপর ভিত্তি করে আমরা বলতে পারি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার যে নির্বাচন কমিশন হবে, নির্বাচন কমিশন অবশ্যই অতীতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যে সব প্রক্রিয়ার প্রয়োজন সে সব প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে আমরা শুরু হতে দেখেছি যার চূড়ান্ত ফলাফল আমরা আজ কিংবা কালকের মধ্যে পেতে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে আসা। আর এজন্য যদি একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায় তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আইনটি সৃষ্টির ফলে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের সকল প্রতিবন্ধকতাকে দূর করা হয়েছে। বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ আওয়ামী লীগ সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বলে মনে হয়। এটি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক সমঝোতার মানসিকতাকেই তুলে ধরে। নির্বাচন বর্জন, সংলাপ বর্জনসহ নানান বর্জন সংস্কৃতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বিএনপি এবং তাদের সুহৃৎ সংগঠন গুলো মিলে লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করেছে লবিস্ট নিয়োগের পেছনে- যাতে করে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন ও সার্বিক অবস্থার অপপ্রচার চালিয়ে আন্তর্জাতিক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এটি নিশ্চই জাতি হিসেবে আমাদের জন্য কলঙ্কজনক। এবারের নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার আরেকটি চাওয়া হচ্ছে তারা যেন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রমুখী করতে যথাযথ বেবস্থা নেই  প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা এবং  সৎ সাহস ও দৃঢ়তাসম্পন্ন হবেন- এটাই আমরা আশা করছি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]