করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশসহ ১৫৩টি দেশ ও অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করেছে হংকং। ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক মাস এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
গত বছরের শেষ হতে এখন পর্যন্ত দ্রুত সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে ৫০ জন আক্রান্তের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো হংকং।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা ১৫৩টি দেশের ট্রানজিট ফ্লাইট হংকংয়ে অবতরণ করতে পারবে না।
এই তালিকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের মতো দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোও আছে।
হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২১ দিনে যারা দুই ঘণ্টার ওপরে এ রাষ্ট্রগুলোতে অবস্থান করেছেন, তারা কোনো যাত্রীবাহী ফ্লাইটে হংকংয়ে প্রবেশও করতে পারবেন না। ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে হংকং। এর মধ্যে ছিল আটটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল, বার-জিম বন্ধ, রাতের বেলা রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধের মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ।
মূল ভূখণ্ডের মতো চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংও মহামারির শুরু থেকেই কঠোর করোনাবিধি মেনে চলেছে। কার্যত সীমান্ত বন্ধ, কয়েক সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন, এলাকাভিত্তিক লকডাউন, গণহারে করোনা পরীক্ষার মতো ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে তাদের।
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেছেন, শহরটিতে এবার ওমিক্রনের সম্প্রদায়ভিত্তিক সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এ অবস্থায় ওমিক্রন মোকাবিলায় সবধরনের বড় জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে হংকং। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বার, নাইটক্লাব, জিম, বিউটি পার্লারসহ আরও কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টার পর রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধ। বাতিল করা হয়েছে সব ক্রুজ ভ্রমণও।