এ খবর প্রথম প্রকাশ করে দ্য টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়, ওই উৎসব আয়োজনে পানাহারের ব্যবস্থা ছিল, ছিল নাচের আয়োজন। তবে প্রধানমন্ত্রী এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র বলেন, যখন শোক পালন করা হচ্ছিল, তখন এমন আয়োজন গভীর অনুতাপের।
এদিকে বরিস এ আয়োজনে ছিলেন না ঠিকই; কিন্তু করোনার বিধিনিষেধ ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিটে তিনিও এমন পানাহারের আয়োজন করেছিলেন। এ কারণে সর্বশেষ দুটি অনুষ্ঠানের পর চটেছে বিরোধী দলগুলো। তারা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মীদের আচরণ ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে রানির একাকী বসে থাকার ঘটনার তুলনা করছেন।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির পক্ষ থেকে বরিসের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া বরিসের দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতারাও তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
যদিও প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে ক্ষমা চেয়েছেন, তারপরও পদত্যাগের দাবি উঠছেই।
এ প্রসঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির স্কটল্যান্ডের নেতা ডগলাস রোস বলেন, বরিস জনসন একজন প্রধানমন্ত্রী। এটা তাঁর সরকার, যারা কিনা আইন বাস্তবায়নে কাজ করছে। কিন্তু যে ধরনের কাজ করেছেন, সে জন্য তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
রোস বলেন, তিনি ‘১৯২২ কমিটির’ কাছে লিখবেন, যাতে বরিসের নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়।
১৯২২ কমিটি মূলত কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে। এর আনুষ্ঠানিক নাম কনজারভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি। এ কমিটির কাছে যদি দলটির ৫৪ জন আইনপ্রণেতা চিঠি লেখেন, তবে বরিসের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
বরিসের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবেন—এমন আইনপ্রণেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
পঞ্চম আইনপ্রণেতা হিসেবে এ দলে যোগ দিয়েছেন এন্ড্রু ব্রিজেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ১৯২২ কমিটির কাছে তিনিও চিঠি লিখবেন আস্থা ভোট আয়োজনের জন্য।