করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হিসাবে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১৫ জন। একই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৮৮৪ জন। এছাড়া একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লাখ ২৯ হাজার ৭৯০ জন।
এ নিয়ে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৬ কোটি ৫২ লাখ ৬১ হাজার ১৮০ জন।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত এবং ৭ হাজার ২৯৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল ওয়ার্ল্ডোমিটারস। সেই হিসাবে একদিনের ব্যবধানে শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছেই।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৭ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ২ হাজার ১২৭ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৪২ জন এবং মারা গেছেন ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯০ জন। এছাড়া একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৪৯০ জন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ৮২০ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত ১ কোটি ৭ লাখ ৪৭ হাজার ১২৫ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ৯১১ জন। রাশিয়ায় একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ হাজার ৯৫২ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ৯৮ লাখ ৯ হাজার ৩০০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩০ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৫ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১১৩ জন।
দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে এরপরই পোল্যান্ডের অবস্থান। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪২৩ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৮৪১ জনে এবং আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ালো ৪২ লাখ ৮১ হাজার ৪৮২ জনে।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৯৯ হাজার ৬৫২ জন এবং মারা গেছেন ২৭০ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৫ জন আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৬১২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৭৮৯ জন।
ইতালিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৬০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৮ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ১৯৯ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৫ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ১৯১ জনের। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২১ জন। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাভ ৪ হাজার ৩৮৬ জন।
জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৮০ হাজার ৮০ জন এবং মারা গেছেন ২৩২ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার ২২৯ জন আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৮ জন মারা গেছেন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬০০ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভিয়েতনামে ১৭১ জন, তুরস্কে ১৬৭ জন, মেক্সিকোতে ১৪৮ জন, ইউক্রেনে ১৪০ জন, স্পেনে ১৩৯ জন, কলম্বিয়ায় ১০৬ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১২৮ জন, কানাডায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।