কলাপাড়ায় জনবল সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সেবা, কুয়াকাটা ২০শয্যা হাসপাতাল, মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সাতটি ইউনিট পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসাসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ১২ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত তিন লক্ষাধিক মানুষ কলাপাড়া হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ক্যাটাগরি অনুযায়ী এখানে চিকিৎসকসহ অন্যান্য সুবিধা নেই। নিয়োগ কলাপাড়ায় দেয়া হলেও কিছু দিনের মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে অর্থের বিনিময় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নতুন ডাক্তাররা তদবির করে জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভাগীয় হাসপাতালে ডেপুটেশনে চাকরি করছেন। ফলে গরিব ও অসহায় রোগীরা সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বি ত হচ্ছেন রোগীরা। ডাক্তাররা তদবির করে জেলা সদর হাসপাতাল ডেপুটেশনে চাকরি করছেন। চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বদলি হয়ে যাওয়ায় লাগাতার চিকিৎসক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুযায়ী ও উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- ৫০ শয্যা এ হাসপাতাল শুন্য পদগুলো হলো- জুনিয়র কনসালটেন্ট(সার্জারী) , জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইন এন্ড অবস), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোঃ), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্মওযৌন) ১০টি, মেডিকেল অফিসার(ইনডোর) ১জন, মেডিকেল অফিসার(হোমিও) ডেন্টাল সার্জন ১ জন, ৮টি ইউনিয়নে এমও/সহ:সার্জন ৩জন, উপ সহাকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ১জন, ৮টি ইউনিয়নে উপ-সহ:কমি: মেডি: অফিসার ১জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ল্যাব:) ২জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ফিজিওথেরাপি) ১জন, পরিসংখ্যানবিধ ১জন, স্টোরকিপার ১জন, অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর/ডাটা এন্ট্রি অপা: ২জন, যক্ষèা ও কুণ্ট নিয়ন্ত্রন সহকারি ১জন, জুনিয়র মেকানিক ১জন, টিকেট র্ক্লাক(আউট সোর্সিং) ১জন ও টি বয়/ ওটি এ্যাটেনডেন্ট ১জন, এমএলএসএস-২,আয়া-১, নিঃপ্রহরি-১, কুক-২, পরিচ্ছন্নতা কমী র্৩, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ২, স্বাস্থ্য সহকারী ১৫, সিএইচসিপি ৩ জনসহ দীর্ঘ দিন ধরে পদগুলো শুন্য রয়েছে।
কুয়াকাটা ২০ শয্যা এ হাসপাতাল শুন্য পদগুলো হলো- জুনিয়র কনসালটেন্ট(সার্জারী/ মেডিসিন/গাইনি এন্ড অবস/এ্যানসথেসিয়া-৪জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার এক জন, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব)একজন,মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ফার্মাসিস্ট)একজন, প্রধান সহকারি কাম-হিসাব রক্ষক একজন, অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর একজন , ওয়ার্ড বয় একজন, এমএলএসএস একজন, ঝাড়–দার একজন, কুক একজন থাকার কথা থাকলেও কিন্তু এই পদগুলো শুন্য রয়েছে।
মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এ হাসপাতাল শুন্য পদগুলো হলো - হাসপাতালে কাগজে কলমে এমবিবিএস একজন, এসপি আই একজন, এফ ডব্লিই পাঁচজন যারা গ্রামে ্ঔষধ বিতরন করে, মেডিকেল(ফার্মা) একজন, নাইট গার্ড একজন, আয়া একজন পদ শুন্য রয়েছে। কিন্তু কর্মরত আছেন এফ ডব্লিউবি একজন, নাস একজন, মেডিকেল এসিষ্ঠান-এস,এ,সি,এম,ও একজন।
কলাপাড়ার সাতটি ইউনিট পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র এ হাসপাতাল শুন্য পদ গুলো হলো- চাকামইয়া ইউনিট স্যাকমো, এফ,ডব্লিউ,ভি, আয়া, নাইট গাট নেই। লতাচাপলী ইউনিট স্যাকমো, এফ,ডব্লিউ,ভি, আয়া, নাইট গাট নেই। ধুলাসার ইউনিট এফ,ডব্লিউ,ভি, নাইট গাট নেই। মিঠাগঞ্জ ইউনিট এফ,ডব্লিউ,ভি, আয়া নেই। নীলগঞ্জ ইউনিট স্যাকমো, আয়া নেই। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারি ৩টি পদের মধ্যে ২টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকও জনবল না থাকায় সাধারন মানুষ চিকিৎসাসেবা হতে বি ত হচ্ছে।
কলাপাড়া হাসপাতালে পরিসংখ্যান অনুযাযী ,বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ জন এবং আন্তঃবিভাগে প্রায় ৮০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। কিন্তু চিকিৎসক ও নার্সের বেশির ভাগ পদ শুন্য থাকায় বিপুল সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসক ও নার্সদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। মান সম্মত অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থাকলে লোক বলের অভাবে সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে জরুরি প্রসূতিসেবার (ইওসি) আধুনিক অস্ত্রোপচার কক্ষ। সেখানে অটোক্লেভ মেশিন ও ওটি টেবিলসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামও রয়েছে। এই সরঞ্জামগুলো কয়েক বছর বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের ইনডোর থেকে আউটডোর সর্বত্রই ময়লার স্তুপ। বাথরুমে তিন চার ইি পরিমান ময়লা,দূর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকায় মশা,মাছি ভো ভো করছে। রোগীরা নাক চেপে বাথরুমে গেলেও এ ময়লা পরিস্কারে কোন উদ্যোগ নেই। এ চিত্র বাহিরের। আর ভিতরের চিত্র আরও ভয়াবহ। হাসপাতালের পুরুষ,মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের বাথরুমে যেন কয়েক ইি পানি জমে আছে। তাতে ভন ভন করছে মশা ও মাছি। শ্যাওলা ধরা বাথরুমের কোনে স্তুপ করে রাখা হয় ময়লা।
গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় জরুরি প্রসূতি সেবা চালু করা যাচ্ছে না। ফলে এখানে নানা স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কোনো প্রসুতি মা তার সন্তান জন্ম দিতে পারছেন না। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি দীর্ঘ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। রোগীদের বাহিরের প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে আলট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। রাতে যখন বিদ্যুৎ থাকেনা তখন অন্ধকারে হাসপাতালের রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলে ও গরমের দিনে চালানো হয় না জেনারেটর। তখন রোগীদের মোমাবাতি জ¦ালিয়ে রোগীদের সেবা যতœ করতে হয়।
কুয়াকাটা হাসপাতাল উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই জনবল সঙ্কটে পড়ে হাসপাতালটি দেশের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর ও পৌর শহর কুয়াকাটাসহ উপকুলীয় চার ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক ক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নির্মিত ২০ শয্যার এ হাসপাতাল। বিঘিœত হচ্ছে চার ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় দুই লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীরা জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসা সেবা না পেয়ে তাদের ২২ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিয়ে কলাপাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছে গর্ভবর্তী মা ও শিশুরা। গর্ভবর্তী মায়েদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রয়েছে বেড সমস্যা। বেড রয়েছে মাত্র দুইটি। এখানে শুধু নরমাল ডেলিভারী দেয়া হয়। উপকুলীয় মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর জেলে ও গর্ভবতী মা স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। বেশি রোগীর হলে তাদেরকে বেড দেয়া যায়না। ফলে গরিবও অসহায় রোগীরা সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বি ত হচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছে গর্ভবর্তী মা ও শিশুরা। গর্ভবর্তী মায়েদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ভবনটি নির্মানে নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করায় মাত্র ২৪ বছরের মধ্যেই এটি জরাজীর্ন হয়ে পড়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ছাদ ও বারান্দার পিলারগুলোর ঢালাই খসে রড বেরিয়ে পড়েছে। এর পেছনের জানলাগুলো ভাঙ্গাচোড়া। সামনের দড়জা-জানলার একই অবস্থা। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মালামালসহ ঔষধপত্র। এই জরাজীর্ণ ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে নিভৃত পল্লী গ্রামের সাধারন মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। ভবনটিতে চিকিৎসা সেবা তো দুরের কথা এখন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোগীসহ যে কোন মানুষ এবং কর্মীরা ক্লিনিকে গিয়ে থাকেন অজানা শঙ্কায়।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে মাতৃ স্বাস্থ্য,শিশু, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাসহ গর্ভকালীন এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হয়। সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পরে গর্ভবতী মায়েরা। সরকারের পরিবার পরিকল্পনা আওতায় কেন্দ্রগুলো ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন প্রসবকালীন সেবা প্রদান করার কথা। কিন্তু জনবল সঙ্কটের কারনে কেন্দ্রগুলোতে ২৪ঘন্টা সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন এলাকার রোগীকে নিরুপায় হয়ে যেতে হচ্ছে শহর কিংবা অন্য কোনো হাসপাতালে। ধুলাসার ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা ভবনটি বৃষ্টি পানি পড়ছে রোগীদের গায়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। পরিবার পরিকল্পনা ভবন বৃষ্টি হলে ভবনটির ছাদ থেকে পানি চুবিয়ে রুমে ঢুকে যায় ও ভবনটির বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদ ও বারান্দার পিলার গুলোর ঢালাই খসে রড বেরিয়ে পড়েছে। কোয়াটারটি যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে তেগাছিয়া গ্রামে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ভবন গত বছর মেরামত করার পর ও ভবনের ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পরে ফ্লার কর্দমাক্ত হয়ে যায়। পুরাতর ভবন মেরাতম করলেও এখন ছুটে ছুটে পড়ে যায়। রড গুলো মরিচা ধরেছে তা ছুটে ছুটে রোগীদের শরীলে পড়ছে। এভাবেই বছর পর বছর ধরে ভগ্নদশার ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা। গর্ভবতী মায়েদের দুর্ভোগের শেষ নেই। গর্ভধারন থেকে শুরু করে সন্তান জন্মদানের পুরো সময়টাতেই চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে তাদের। গর্ভধারন থেকে শুরু করে সন্তান জন্মদানের পুরো সময়টাতেই চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে তাদের। যার কারনে গর্ভবর্তী মহিলারা তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারছেন না। জানতে পারছেন না তাদের করনীয়। এতে ঝুঁকির মধ্যে থাকে মা ও পেটের শিশুচিকিৎসা না পেয়ে সন্তান জন্মদানের সময় নানা জটিলতায় মারা যান অনেক মা ও তার নবজাতক সন্তান।
খাজুরা গ্রামের কুলসুম বেগম বলেন, কুয়াকাটা হাসপাতালে ভাল ডাক্তার না থাকায় ভাল কোন চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছেনা। শেষ পর্যন্ত রোগীদের ২২ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিয়ে কলাপাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: ইলিয়াস খানা রানা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অনেক কেন্দ্র জনবল সংঙ্কট ও কয়েকটি ভবন জরাজীর্ন অবস্থা অফিস চলছে তা আমি উবর্ধতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক জানানো হয়েছে।
কুয়াকাটা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মো. মাহমুদ হাসান অপু বলেন, আমার একার পক্ষে গড়ে প্রতি দিন ৫০-৬-জন রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হয়। এখানে আমি একাই এমবিবিএস হিসেবে আছি। গত মার্চ মাস থেকে প্রায় ৯ মাস চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। এখানে এমবিবিএস ৬টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শুন্য রয়েছে। ডাক্তারসহ জনবল না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিন্মময় হাওলাদার বলেন, চিকিৎসক সঙ্কট কথা উধর্বতন কর্তৃপক্ষ বার বার জানানো হয়েছে। চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতি মাসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ৪থ শ্রেনি কর্মচারী ১৫টি পদ শুন্য রয়েছে। কর্মচারী না থাকার কানে হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা যায় না। মান সম্মত অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থাকলে লোক বলের অভাবে সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় জরুরি প্রসূতি সেবা চালু করা যাচ্ছে না। ফলে এখানে নানা স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কোনো প্রসুতি মা সন্তান জন্ম দিতে পারছেন না। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছে গর্ভবর্তী মা ও শিশুরা। গর্ভবর্তী মায়েদের দুর্ভোগের শেষ নেই।