শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে ঝোপ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অধ্যাপক সাইদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নির্মাণাধীন বাড়ির কন্ট্রাক্টর ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আনারুল। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন নিহত অধ্যাপকের ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির।
অধ্যাপক সাইদা ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে তার মালিকানাধীন প্লটে বাড়ি করার জন্য প্রকল্প সংলগ্ন দক্ষিণ পানিশাইল মোশারফ মৃধার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। সেখানে থেকেই বাড়ি নির্মাণ কার্যক্রম দেখাশোনা করতেন। সেখান থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে মরদেহটি পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক সাইদা যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন মৃধা বলেন, প্রায় আট মাস ধরে আমার বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট ভাড়া নেন অধ্যাপক সাইদা। তার এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার। দুই মেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। আরেক মেয়ে ঢাকায় থাকেন। ম্যাডাম ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। একটা বিদেশি কুকুর পুষতেন। মাঝেমধ্যে তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী আসতেন।
এর আগে বুধবার (১২ জানুয়ারি) সাইদা গাফফারের নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান বলেন, অধ্যাপক সাইদার হাতে টাকা দেখে তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তিনি চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান আনারুল।