চলতি বছরের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, গত একযুগে আমাদের গড় আয় ম্যাজিকের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ দেশের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের আয় ছিল ৭০০ ডলারের নিচে। গত এক যুগে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে। এ বছরের মধ্যে তিন হাজার ডলারে উন্নীত হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে নগরবাসীর চাহিদার অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনাতেও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনসহ দেশের মানুষের পানির চাহিদা পূরণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকাবাসীকে গুণগত মানসম্পন্ন পানি সরবরাহের লক্ষ্যে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগ অনুযায়ী কাজ চলছে। পানি সরবরাহের জন্য স্থাপিত পাইপলাইনগুলো অনেক পুরনো এবং অধিকাংশ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন সেগুলো পরিবর্তন করে উন্নতমানের পাইপ বসানো হচ্ছে।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে ৬০ শতাংশ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে পানির মানোন্নয়ন এবং সরবরাহ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরমধ্যে সায়দাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ফেজ-১ ও ২ শেষ হয়েছে। এখন সায়দাবাদ ফেজ-৩ এর নির্মাণকাজ চলছে। এসব উন্নয়ন কাজের ফলে ঢাকা ওয়াসা এরই মধ্যে শতভাগ পানির সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।
ওয়াসাতে অনেক অভিযোগ আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে তা সমাধান করতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষিসহ সকল খাতকে সমান প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে। উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের লক্ষ্য ঠিক করেছেন। এরই মধ্যে খাদ্য ঘাটতি ও শতভাগ বিদুৎতায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। এখন সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পৌঁছাতে পারবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ৩৪টি ব্যাংক এবং তিনটি মোবাইল ব্যাংককে ওয়াসার বিল সংগ্রহে বিশেষ অবদান রাখায় ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।