নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদ ফেরদৌস বলেন, চারজনের মধ্যে দুজন একই পরিবারের।
গত বুধবারের এই ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ১০ জনের মধ্যে গৃহিণী জেসমিন আক্তার ও তাঁর তিন সন্তান রয়েছে।
জেসমিনের ভাই বিল্লাল হোসেন বলেন, তাঁর বোন জেসমিন ও বোনের বড় মেয়ে তাসমিম আক্তারকে (১৫) খুঁজে পাওয়া গেছে। ৮ বছরের তামিম খান ও ১৪ মাস বয়সী তাসফিয়া আক্তার এখনো নিখোঁজ। দুর্ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই তাঁরা ট্রলার নিয়ে আশপাশের এলাকায় স্বজনদের খোঁজ করছিলেন। আজ সকালে ট্রলার দিয়ে খুঁজে দেখার সময় তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলের সিপাহিবাড়ি ঘাটে দুটি ভাসমান লাশ দেখতে পান। আর বাকি দুটি লাশ পাওয়া গেছে বক্তাবলি ঘাট এলাকায়।
গত বুধবার এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। তখন থেকে অন্তত ১০ যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল গত টানা চার দিনা চেষ্টা করেও নিখোঁজ কাউকে খুঁজে পায়নি। পঞ্চম দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার আগে স্বজনেরাই নিখোঁজ চারজনকে খুঁজে পেলেন।