#১৩ বছরের অর্জনের পিছে শেখ হাসিনাকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে: মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার। #বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক শেখ হাসিনা: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল।
প্রকাশ: শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গত ১৩ বছরে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে সেটা কিন্তু খুব সহজে আসেনি। এটা অর্জন করতে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে যার নেতৃত্বে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কারণেই আজকে আমরা বাংলাদেশের যে পরিবর্তনটা দেখতে পারছি সেটা সম্ভব হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৭৮তম পর্বে শনিবার (৮ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, গত ১৩ বছরে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে সেটা কিন্তু খুব সহজে আসেনি। এটা অর্জন করতে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে যার নেতৃত্বে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কারণেই আজকে আমরা বাংলাদেশের যে পরিবর্তনটা দেখতে পারছি সেটা সম্ভব হয়েছে। এই ট্রান্সফরমেশন অফ বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বলার প্রয়োজন আছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশের যে আকাক্সক্ষা সেটা তিনি শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো তখন বিশ্বের যে র্যাঙ্কিং হয়েছিল সেখানে বাংলাদেশে বিশ্বের অনুন্নত দেশের তালিকায় ছিল। কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু কিন্তু বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে এসেছিলেন। সেই সাড়ে তিন বছর কি যে একটা মহাসংকট ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে বাংলাদেশকে যে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল সেটা আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো পৃথিবীবাসীই জানে। কিন্তু আজকে সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের জায়গায় সুপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ, আর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত এবং যারা বাংলাদেশকে সেই পাকিস্তানি কায়দায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তারা আজ আস্তাকুরে নিক্ষেপিত হয়েছে। সুতরাং আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে যে উন্নয়ন তিনি দেশের জন্য এনে দিয়েছেন সেটা সম্ভব হয়েছে এই কারণে যে, পাকিস্তান স্টাইল রাষ্ট্রে বাংলাদেশেকে পরিণত করার যে প্রচেষ্টার জায়গা থেকে বাংলাদেশকে বের করতে পেরেছেন বলেই আজকের এই অর্জনগুলো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সেই অপশক্তিদের একটা অংশ এখন বাংলাদেশকে পেছনে তুলে ধরার ষড়যন্ত্র করছে।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, সঠিক কর্মপরিকল্পনায় হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মাইলফলকের ম্যাজিক। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা সঠিক কর্মপরিকল্পনা আছে বলেই আজকের এই উন্নয়ন বাস্তবে দেখার সম্ভব হয়েছে। গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ২৩ দশমিক ৬৭-এ কমে এসেছে। এ বছর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও টেকসই ব-দ্বীপে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে। খাদ্য ঘাটতি থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তথ্য প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে গত ১৩ বছরে সমগ্র দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য আলোর পথের দিশারি। তিনি বাংলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। শেখ হাসিনা যতো দিন থাকবে ততোদিন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।