এ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে: অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজ নববর্ষ উদযাপনের শব্দ আসছে চারিদিক থেকে। ছেলে-মেয়েরা নববর্ষ উদযাপনের জন্য মাতোয়ারা হয়ে আছে। সত্যি বলতে কি আসলে এটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সারা গ্রহব্যাপী নানা ধরনের আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে উৎযাপন করা হয় এবং বাংলাদেশও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। আসলে আমরা যে প্রত্যাশাই করি না কেন, আমরা যদি শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং নিজে কিছু না করি, তাহলে এই প্রত্যাশা করে কোন লাভ নেই। প্রত্যাশা হবে আমরা যে যেখানে যে দায়িত্বে আছি না কেন সবাই যার যার জায়গা থেকে সততার সহিত তার দায়িত্ব পূরণ করতে পারে তাহলেই আমাদের কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৭০তম পর্বে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (নীলদল) সাবেক সভাপতি, লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, আমি শুরুতেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। প্রথম আলোচক অল্প সময়ে খুবই সুচারুভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। জাতীয় থেকে শুরু করে বৈশ্বিক পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আমি আসলে বাংলাদেশ সম্বন্ধে দুই-একটি কথা বলতে চাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে যেভাবে সরকার পরিচালিত করছেন, সে কারণে আমাদের অর্থনীতি সঠিক ধারায় পরিচালিত হয়েছে। এদিক থেকে আমি বলবো যে, বাংলাদেশ সরকার অনেকটা সফল হয়েছে। অন্যদিকে এই ২০২১ সালে আমরা অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গকে হারিয়েছি যা আমাদেরকে পীড়া দেয়। প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা দেশের কয়েকজন গুণী ব্যক্তিকে হারিয়েছি, যা গভীর বেদনাবহ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের মহাসোপানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নববর্ষের এই সূচনালগ্নে সবার প্রত্যাশা জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে সফলতা আসুক। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সবার চেষ্টা ছিল এগিয়ে যাওয়ার। নতুনের মধ্যেই নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। আর সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সুযোগ করে দেবে নতুন বছর। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা গর্বিত ও আশাবাদী। বিগত বছরগুলোতে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সামনের দিকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। এখন আর আমাদের কেউ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে উপহাস করার সাহস দেখায় না। আগামী বছরটা কেমন আসবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা এটা মূলত আজকের আলোচ্য বিষয়। আসলে আমরা যে প্রত্যাশাই করি না কেন, আমরা যদি শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং নিজে কিছু না করি তাহলে এই প্রত্যাশা করে কোন লাভ নেই। প্রত্যাশাটা হবে আমরা যে যেখানে যে দায়িত্বে আছি তারা যদি সেই জায়গা থেকে সততার সহিত তার দায়িত্ব পূরণ করতে পারে তাহলেই আমাদের কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে। এই প্রত্যাশা আসলে কি হতে পারে? এই ক্ষেত্রে আমি একজন শিক্ষক হিসেবে বলতে পারি আগামী বছরে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব বাড়াতে হবে আগামী দিনগুলোতে। দুর্নীতি নির্মূল বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে সরকারের যে সকল প্রচেষ্টা আছে সেগুলোর সাথে নিজেকেও সম্পৃক্ত করতে হবে তাহলেই আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে।