২০২২ সালে বাংলাদেশে আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজ নববর্ষ উদযাপনের শব্দ আসছে চারিদিক থেকে। ছেলে-মেয়েরা নববর্ষ উদযাপনের জন্য মাতোয়ারা হয়ে আছে। সত্যি বলতে কি আসলে এটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সারা গ্রহব্যাপী নানা ধরনের আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে উৎযাপন করা হয় এবং বাংলাদেশও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। আসলে আমরা যে প্রত্যাশাই করি না কেন, আমরা যদি শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং নিজে কিছু না করি, তাহলে এই প্রত্যাশা করে কোন লাভ নেই। প্রত্যাশা হবে আমরা যে যেখানে যে দায়িত্বে আছি না কেন সবাই যার যার জায়গা থেকে সততার সহিত তার দায়িত্ব পূরণ করতে পারে তাহলেই আমাদের কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৭০তম পর্বে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (নীলদল) সাবেক সভাপতি, লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আজকে যারা ভোরের পাতা সংলাপে সংযুক্ত আছেন তাদের সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই এবং সাথে দেশবাসীসহ পৃথিবীবাসীকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। চারিদিকে আজ নববর্ষ উদযাপনের খুব শব্দ আসছে। ছেলে-মেয়েরা নববর্ষ উদযাপনের জন্য মাতোয়ারা হয়ে আছে। সত্যি বলতে কি আসলে এটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এইদিনটিকে কেন্দ্র করে সারা গ্রহব্যাপী নানা ধরনের আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উৎযাপন করা হয় এবং বাংলাদেশও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। আমরা যদি এটা আলোচনা করতে চাই যে ২০২১ সাল আজ রাত ১২ টায় বিদায় নিচ্ছে আমাদের থেকে এবং ২০২২ সাল নানা ধরনের সম্ভাবনা নিয়ে উকি দিচ্ছে। ২০২১ সালটি খুব একটা ভালো হয়েছে বলে মনে হয় না আমার কাছে, তার একটা অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে করোনা মহামারি। এখন পর্যন্ত সেটা রয়েছে নানা রকমের রূপ ধারণ করে পুরো বছর ঝুড়ে এই গ্রহের মানুষকে তার গ্রাসের মধ্যে রেখেছে। অসংখ্য প্রাণহানি ঘটেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি-শিল্পসহ সকল সেক্টরে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এতো কিছু নেতিবাচক দিক থেকেও আমরা যদি আমাদের দেশের দিকে তাকাই তাহলে বলতে হবে আমরা ভালোই ছিলাম এবং আছি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও চৌকস নেতৃত্বে। এই করোনা মোকাবিলা করেও আমরা মোটামুটি একটা ভালো অবস্থানে রয়েছি এবং আমরা একটা রেসিলিয়ান্স ইকনোমির জন্ম দিয়েছি। করোনার এতো ব্যাপক মহামারির পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যগত দিকসহ অন্যান্য সেক্টরেও কিন্তু আমরা সামলে উঠেছি এবং একটা রেসিলিয়ান্স আনতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বব্যাপী এই বৈরি প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা বাংলাদেশে দুটি অসামান্য কাজ করতে সক্ষম হয়েছি। একটি হলো জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান সেটা আমরা এই ২০২১ সালে করতে পেরেছি এবং আরেকটি হচ্ছে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী একই সাথে বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে পেরেছি। এই দুইটি ইভেন্টকে আমি বাংলাদেশের অন্যতম মাইলস্টোন অর্জন বলতে চাচ্ছি।