সেশন জটের সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি বেশ পুরনো। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে এ সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগ। তবে করোনা দুর্যোগে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এ সমস্যা। নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান চাওয়া হচ্ছে সেশন জট নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি।
বাংলাদেশের শিক্ষনীতি অনুযায়ী চার বছরে স্নাতক এবং এক বছরে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করার কথা। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক বিভিন্ন জটিলতায় অনেক সময়ই নির্ধারিত সময়ে ক্লাস পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয় না। এক থেকে দুই বছরের জট কমে দুই/তিন মাসে নেমে এসেছিল। কিন্তু করোনা দুর্যোগে আবারও এক থেকে দেড় বছরের জট তৈরি হয়েছে অধিকাংশ বিভাগে।
নতুন বছরে প্রত্যাশা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে আজকের আয়োজন।
মো. ইমাম আহমেদ (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ)
পুরনো দিনের অমানিশা কেটে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়। আশা করি নতুন বছরে সেশনজট এড়াতে প্রশাসন তার সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবে এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় তার সুবর্ন জয়ন্তীর আকাঙ্ক্ষা পূরনের দিকে অগ্রসর হবে।
ফারজানা ইয়াসমিন স্বর্ণা (নৃবিজ্ঞান বিভাগ)
মহামারীর প্রকোপে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্ষেত্রে গতানুগতিক সেশন জট তুলনামূলক প্রায় দ্বিগুণরূপে অবস্থান করছে। প্রশাসনিক কাঠামো নতুন বছরের প্রারম্ভিকতায় যেন সেশন জট মুক্তির উদ্দেশ্যে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করে এই আশা প্রকাশ করছি।
মৌটুসি রহমান (ইংরেজি বিভাগ)
নতুন বছরে আশা করি সেশন জট থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাবো। এই সেশন জট আসলে জীবনের অনেকগুলো মূল্যবান সময় কেড়ে নিচ্ছে। এই জট শিক্ষাজীবনের জন্য কতখানি অভিশাপ তা শিক্ষার্থীরাই জানে। আশা থাকবে সবধরনের সেশন জট থেকে আমরা সবাই মুক্তি পাবো।
এহতেশাম শাহরিয়ার সিকদার (ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবার স্বদিচ্ছাই আসলে সেশন জট নিরশনের জন্য প্রয়োজন। করোনা মহামারি পার করে আমরা যেহেতু আবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছি, আমি আশা রাখি নতুন বছরে অন্যান্য সমস্যার সাথে সেশন জটের অভিশাপ থেকেও আমরা মুক্তি পাবো। তবে এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন।
স্মরণ আহসান (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ)
সেশন জট কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি যারা করোনার আগে থেকেই পিছিয়ে আছি। স্নাতক শেষ হতে হতেই যখন প্রায় ৬ বছর লেগে যায় তখন আসলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। আমাদের সকলেরই চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভাল ভাবে পরিচালিত হোক। প্রশাসন ও শিক্ষকরা সম্মলিতভাবে উদ্যোগ নিলে, শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ জায়গা থেকে কো অপারেট করলে আশা করি আমরা নতুন বছরে ভাল কিছুই পাবো।
ইমন রহমান (গণিত বিভাগ)
সেশন জট আসলে সবসময়ই অল্প হলেও ছিল কিন্তু করোনায় সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু সবকিছু আবার স্বাভাবিক হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে, আমার প্রত্যাশা এই যে,কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে যাতে করে আমরা নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাবর্ষ শেষ করতে পারি। অন্তত নতুন বছরে যাতে সেশন জট নামক দুর্ভোগের ভুক্তভোগী না হয় আমরা।