শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
উন্নয়নের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র
#শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাকাব্য শুরু: ডা. শারমিন রহমান অমি। #পৃথিবীর অনেক দেশের বিজয় দিবস নেই কিন্তু আমাদের আছে: উৎপল দাস।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আসলে আজকের বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের একটু পিছনে ফিরে তাকাতে হবে ২০১৪ সালের দিকে যখন বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসী আন্দোলনের জবাবে জনগণ ফের আওয়ামী লীগকে বেছে নেয়। তখন থেকেই উন্নয়নের আরও একটি মহাকাব্য শুরু করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনন-মেধা, সততা-নিষ্ঠা, প্রখর দক্ষতা এবং সৃজনশীল উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাঁর সফল ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখছে ২০৪১ সালের আগেই একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হওয়ার। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৬৯তম পর্বে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শেরপুর সদরে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি), সেন্ট্রাল কাউন্সিলর বি এম এ  ডা. শারমিন রহমান অমি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

ডা. শারমিন রহমান অমি বলেন, আসলে আজকের বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের একটু পিছনে ফিরে তাকাতে হবে ২০১৪ সালের দিকে যখন বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসী আন্দোলনের জবাবে জনগণ ফের আওয়ামী লীগকে বেছে নেয়। তখন থেকেই উন্নয়নের আরও একটি মহাকাব্য শুরু করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে আসলেই বাংলাদেশের রূপ পাল্টে যায়। জ্বালাও-পোড়াও, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র, বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে চলছে। বতর্মান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।  আজকের বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ। গ্রামাঞ্চলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটত অধিকাংশ মানুষের। এখন তারা অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুতহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল গ্রামের পর গ্রাম। অধিকাংশ ঘরবাড়ি ছিল মাটির দেয়াল অথবা পাটখড়ি বা বাঁশের বেড়া আর খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের সেই চিত্র আর নেই। অধিকাংশ বাড়িঘর দাঁড়িয়ে আছে ইট-সিমেন্ট অথবা টিনের ওপরে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসসহ আরও অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোলমডেল হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশের রত্ন নয়, তিনি বিশ্বরত্ন। তিনি বাঙালি জাতির চেতনার প্রতীক। আমাদের অহংকার। যার অপ্রতিরোধ্য পথচলায় বাংলাদেশ আজ ছুটে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে।

উৎপল দাস বলেন, এবার আমরা যে বিজয় দিবস উৎযাপন করলাম তা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্য ও গৌরবের। এবারের বিজয় দিবস স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর। এবারের বিজয় দিবস উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হওয়ার বিজয় দিবস। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে উন্নয়নের সকল ফাউন্ডেশন গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন এবং দিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ব সেরা সংবিধান যেখানে বলা ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে বাংলাদেশকে সেই পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহর রহমতে ১৯৭১ সালের ১৭ মে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, জীবনকে তুচ্ছ করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে গিয়েছেন। বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি সংমিশ্রণ করে জিডিপি গ্রোথ, রফতানিসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন সমগ্র বিশ্ব আজ বিস্ময়ে দেখছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ, স্যানিটেশনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। যার স্বীকৃতি দিয়ে চলছে বিশ্ব সম্প্রদায়ও। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ কন্যা স্বাধীন বাংলাদেশে পিতার মতোই সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। পিতা-মাতা স্বজন হারানোর সীমাহীন বেদনার মাঝেও তিনি অসীম সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে লড়াই করেছেন। তিনি বাংলার জনগণের মাঝেই খুঁজে নিয়েছেন স্বজনদের, দেশের মানুষের জন্য সঁপে দিয়েছেন জীবনের সবটুকু সময়, তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য অগ্রযাত্রায় সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, ভিশনারি নেতৃত্বে। মানবিক গুণসম্পন্ন এই মানুষটি জনতার নেত্রী, আমাদের নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনন-মেধা, সততা-নিষ্ঠা, প্রখর দক্ষতা এবং সৃজনশীল উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাঁর সফল ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখছে ২০৪১ সালের আগেই একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হওয়ার।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]