মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার ও বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপরাধে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার ও আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার অপরাধে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন বিচ্ছু জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, ঢাবির সভাপতি সনেট মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত সমগ্র দেশে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে নিরীহ মানুষদেরকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল। বিএনপি-জামাতের এসব সন্ত্রাসীদের বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। চখা রাজাকার পুত্র মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।"
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, "৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছিল। এই বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সবসময় মাঠে থাকবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি খালেদা ও তারেককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। মির্জা ফখরুল মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করার অপরাধে মির্জা ফখরুলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুলকে বহিষ্কার না করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। নির্বাচন কমিশনের নিকট আহবান, অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা ও ২০১৪, ২০১৮ সালের আগুন সন্ত্রাসের অপরাধে বিএনপির রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মির্জা ফখরুল তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে মির্জা ফখরুলকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই প্রতিহত করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে দ্রুত নিষিদ্ধসহ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আগুন সন্ত্রাসীদের বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ঠাকুরগাঁওয়ের চখা রাজাকারের পুত্র মির্জা ফখরুল সম্প্রতি তারেক ও খালেদাকে মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে আমাদেরকে চরমভাবে অপমান করেছে। রাজাকার পুত্র মির্জা ফখরুলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে।"
বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির আহমেদ জালাল বিচ্ছু জালাল বলেন, "বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছিল। বিএনপি এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে পরিণত হয়েছে। রাজাকার পুত্র মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসআই গুপ্তচর জিয়া কখনোই বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন না। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী খুনী জিয়ার তৈরী বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে বিএনপি রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি, ট্রেনিং জমা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আহবানে প্রয়োজনে আবার স্বাধীনতা বিরোধীদের নির্মূল করতে মাঠে নামবে বীর মুক্তিযোদ্ধারা।"
ভোরের পাতা/কে