প্রকাশ: বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শেখ হাসিনা আজ শুধু আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় তিনি আজ দেশের বাইরেও তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বের পদার্পণ রেখেছেন। বিশ্বের সেরা তিনজন নেতার একজনে পরিণত হয়েছেন তিনি এবং আমরা সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা সমগ্রভাবে বিশ্বের একক নেতার আসনে যেতে তিনি সক্ষম হবেন। ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে নানাবিধ উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি উন্নয়ন, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ, পোশাক শিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্জন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৬৮তম পর্বে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ’র (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আফজালুর রহমান বাবু বলেন, আজ আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে প্রাণভরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে চাই, আমি স্মরণ করতে চাই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গেরিলা বলেছেন, আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, নবপরিণীতা স্ত্রী সুলতানা কামাল, আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ ফজলুল হক মনি, আবু নাসেরসহ সেই ১৫ আগস্টের কালরাতে যারা শহীদ হয়েছিলেন এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জন শহীদ বিশেষ করে আইভি রহমানকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই। আজ জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন তাঁর কারণ হচ্ছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশটাকে উপহার দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর জীবনের ১৪টি বছরের জেলখানায় কাটিয়েছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় এই দেশটাকে একটি জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছিলেন। তখন আসলে ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে তিনি এই দেশের উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিলেন। সব কিছু শূন্য থাকার পরেও তিনি বাংলাদেশের জিডিপির একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছিলেন এবং এটাই সে সময় বিশ্বের মোড়লদের মাথা বেথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই কারণে তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশীয় ও বিদেশী ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা এই উঠতি বাংলাদেশকে সেই আবার পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাঙলার আশার বাতিঘর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকেই সে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা শুরু হয় যা এখনো চলমান আছে যা আমরা বর্তমান সময়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো মাধ্যমে দেখছি। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।