প্রকাশ: বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৪৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য ‘বিশেষ এলাকা’ চালু করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ৬০০ ফুট দীর্ঘ এ জোন উদ্বোধন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, সমুদ্রের বিশালতা দেখতে আসা নারী ও শিশুরা বিশেষ সুরক্ষায় থাকুক এটা চায় প্রশাসন। নারী-শিশুদের সমুদ্র দর্শন, স্নান নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে এ জোনের পথচলা। পরিবারের সঙ্গে আসা নারী-শিশুরা চাইলে সৈকতের যে কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারে। কিন্তু যেসব নারী ও শিশু একলা এসে সৈকত দর্শন করেন তাদের নির্বিঘ্নে ভ্রমণ উপহার দিতেই আলাদা জোন করা। পর্যটনবান্ধব কক্সবাজার করতে আমরা সবাই কাজ করছি। হয়তো এ ছোট ছোট উদ্যোগগুলো পর্যটনকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এ জোনে নারী-শিশুরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। নির্বিঘ্নে সমুদ্রে গোসল করতে পারবেন। পুলিশ ও বিচকর্মী এ জোনের নিরাপত্তায় কাজ করবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সৈকতে বেশি ঝুঁকিতে থাকে নারী ও শিশুরা। এবার সেই ঝুঁকি কমবে। পর্যটকদের জন্য আগে থেকেই কাজ করছি। জনবল কম হলেও আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাব।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ পর্যটনকে আরও বেগবান করবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাবনী পয়েন্টের ঝিনুক মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে দক্ষিণে দেড়শ মিটার উর্মি রেস্টুরেন্টের শেষ মাথা পর্যন্ত লাল পতাকা দিয়ে ঘিরে রেখেছে প্রশাসন। দুপাশ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা মাইকিং করে এ জোনে একক পুরুষ সদস্যের প্রবেশ নিষেধ বলে বার বার সতর্ক করছেন।
এ সময় নির্ধারিত জোনে নারী ও শিশুদের উপস্থিতি দেখা না গেলেও জোনের উত্তর ও দক্ষিণে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু পর্যটক সমুদ্র স্নান ও ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসে হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। হোটেল থেকে বেরিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন ওই নারী। পুলিশের কোনও সহায়তা না পেয়ে র্যাবকে খবর দেন। তখন হোটেলে এসে তাকে উদ্ধার র্যাব। এ ঘটনার পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পর্যটকরা। এর প্রেক্ষিতে নারী পর্যটকের জন্য ‘বিশেষ এলাকা’ করা হয়েছে।