শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঋণগ্রহীতা থেকে ঋণদাতা দেশে রূপান্তরিত হয়েছে: মোহামদ শাহজাহান শাজু
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গৌরবের বিষয় হচ্ছে গৌরবগাঁথা বিজয়ের ৫০ বছর। স্বাধীনতার এই পঞ্চাশ বছর পরে আজ বিশ্বের সকল দেশের মানুষের উপলব্ধি এই বাংলাদেশকে নিয়ে। বাংলাদেশ ঋণ গ্রহীতা থেকে ঋণদাতা দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এটা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছে। এর সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৬৭তম পর্বে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, ইতালি আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, গফরগাঁও কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, গফরগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহামদ শাহজাহান শাজু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মোহামদ শাহজাহান শাজু বলেন, প্রথমেই আমি স্মরণ করতে চাই যে নেতার জন্ম না হলে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ নামক দেশের স্থান হতো না, তিনি আর কেউ না জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি প্রথমেই একটি কথা দিয়ে শুরু করতে চাই যে, বাংলাদেশ ঋণ গ্রহীতা থেকে ঋণদাতা দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছে। এর সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সব প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে ব্লু-ইকোনমির নবদিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, সাবমেরিন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিনামূল্যে বই দেয়া, মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে এটি একটি বড় অর্জন। আমাদের এটি সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী ও অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।