শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা
#বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: কে এম লোকমান হোসেন। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঋণগ্রহীতা থেকে ঋণদাতা দেশে রূপান্তরিত হয়েছে: মোহামদ শাহজাহান শাজু।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গৌরবের বিষয় হচ্ছে গৌরবগাঁথা বিজয়ের ৫০ বছর। স্বাধীনতার এই পঞ্চাশ বছর পরে আজ বিশ্বের সকল দেশের মানুষের উপলব্ধি এই বাংলাদেশকে নিয়ে। বাংলাদেশ ঋণ গ্রহীতা থেকে ঋণদাতা দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এটা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছে। এর সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৬৭তম পর্বে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, ইতালি আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, গফরগাঁও কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, গফরগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহামদ শাহজাহান শাজু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

কে এম লোকমান হোসেন বলেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের, গৌরবের বিষয় হচ্ছে গৌরবগাঁথা বিজয়ের ৫০ বছর। স্বাধীনতার এই পঞ্চাশ বছর পরে আমার উপলব্ধি আজ বিশ্বের সকল দেশের মানুষের উপলব্ধি একই বাংলাদেশকে নিয়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে সকল দেশ আমাদের কটাক্ষ করেছে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে আজ সেই সকল দেশ আমাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং সেই দেশগুলো আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চাইছে। অবকাঠামোখাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন যেন রূপকথাকে হার মানায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রজেক্টের অর্জনের আনন্দ আমাদের গর্বিত করছে। গত একযুগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তির দিক থেকে যে অকল্পনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, তা বিশ্ববাসীর কাছেও বিস্ময়। বঙ্গবন্ধু যদি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার না হতেন, যদি আর দশটি বছরও বেঁচে থাকতেন, তাহলে এই বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর একটি হিসেবে গৌরবের আসন নিশ্চিত করতে পারত। আজ ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে আমি কিছু দাবি উত্থাপন করতে চাচ্ছি যে, বাংলাদেশের অনেক নাগরিক ইউরোপের অনেক দেশেই বর্তমানে অবস্থান করছেন। এই প্রবাসীদেরকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশের সরকার করতিক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশের কতজন নাগরিক বর্তমানে ইউরোপে বসবাস করছে তার একটা ডাটাবেজ তৈরি সহ তাদের সহযোগিতা করার জন্য একটা প্রবাসী হেল্পডেস্ক গঠন করতে হবে। বর্তমানে ইউরোপে দক্ষ স্কিলের অভাবে বাংলাদেশের অনেক মানুষ তাদের ন্যায্য প্রাপ্যটা পাচ্ছেন না। তাই আমরা ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানব নেওয়ার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেছি এবং এটা নিয়ে আমরা বিস্তর কাজ শুরু করেছি ইতিমধ্যে।  বিশ্বের বুকে সর্ব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়। আর বিস্ময়ের সূচনা জাতির পিতার হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ অনেক দূর এগিয়ে এনেছেন তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী বাংলার কাণ্ডারি আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিজয়ের ৫০তম বছর পেরিয়ে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দরবারে। এখন আমাদের অর্থনৈতিক অর্জনসমূহকে জনগণের সেবার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। তা হলেই বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

মোহামদ শাহজাহান শাজু বলেন,  প্রথমেই আমি স্মরণ করতে চাই যে নেতার জন্ম না হলে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ নামক দেশের স্থান হতো না, তিনি আর কেউ না জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি প্রথমেই একটি কথা দিয়ে শুরু করতে চাই যে, বাংলাদেশ ঋণ গ্রহীতা থেকে ঋণদাতা দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছে। এর সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সব প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে ব্লু-ইকোনমির নবদিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, সাবমেরিন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিনামূল্যে বই দেয়া, মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে এটি একটি বড় অর্জন। আমাদের এটি সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী ও অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]