প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:৫৯ পিএম আপডেট: ২৮.১২.২০২১ ১০:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তার সুযোগ্য নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ আবারো পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতীয় চার মূলনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারির মাতৃভাষা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা, সমুদ্রসীমা জয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, স্যাটলাইটের নিজস্ব মালিকানা ও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণসহ বহু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। দারিদ্র্য বিমোচন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূরীকরণসহ সুদূরপ্রসারী সাহসী নেতৃত্বের কারণে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে শেখ হাসিনা আজ অন্যতম।
তিনি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষকে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় আনতে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত সব কর্মসূচি আজ দেশি ও আন্তর্জাতিক মণ্ডলে স্বীকৃত।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলীর সভাপতিত্বে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ডা.খালেদ শওকত আলী সঞ্চালনা করেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ প্রমুখ।