প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:১৯ পিএম আপডেট: ২৮.১২.২০২১ ৮:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর সরকারি হাট ইজারা না-নিয়েই অবৈধভাবে খাজনা আদায় করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এদিকে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ভুমি অফিসকে ম্যানেজ করে ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এক বছর ধরে সরকারি ওই হাটটি দখলে রাখায় বার্ষিক ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সপ্তাহে দু'দিন হাট বসে,খাজনাও উত্তোলন করা হয় কিন্তু ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ভুমি অফিস বলেন হাট বসে একদিন।
জানাগেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বরে সরকারি জায়গায় প্রতি শুক্রবার ও সোমবার সাপ্তাহিক হাট ও প্রতিদিন বাজার বসে। নড়িয়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে হাটটি ইজারা দেওয়া হয়। বাংলা ১৪২৭ বঙ্গাব্দে হাটটি ইজারাদাররা ইজারা না নেওয়ায়, উপজেলা পরিষদ থেকে খাজনা উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভোজেশ্বর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ খবির উদ্দিনকে। তবে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে খাজনা উত্তোলন না করে স্থানীয়দের কাছে ম্যানেজ হয়ে অবৈধভাবে খাজনা আদায় করতে দেওয়া হয়েছে।
এতে প্রতিবছর সরকার ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। এর মধ্যে গরুর হাট থেকে সেকেন্দার, মুরগী পট্রি বাপ্পি, টুরকি হাট ঘরাপি আর মাছ বাজার থেকে শাহআলম বেপারী খাজনা উত্তোলন করেন। সপ্তাহে দু'দিন এই হাট থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয় আর সরকারি কোষাগারে জমা হয় মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এই অনিয়মের মূল হোতা ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ভুমি অফিস।
এবিষয়ে গরুর হাটের খাজনা উত্তোলন কারী সেকেন্দার বলেন, হাটটি ইজারা নেওয়ার পর লোকশান হওয়ায় পরবর্তী বছরে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই হাটের খাজনা আদায় করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, হাট ৯০ হাজার টাকা ইজারা দেওয়া হয়েছে সেলিম বাবুর্চি কাছে।শতকরা ৫ টাকা করে খাজনা নেওয়া হয় আমাদের থেকে । কবুতর ব্যবসায়ী বাবু আমাদের কাছ থেকে খাজনা উত্তোলন করে।
হাটের খাজনা ভূমি অফিসের উত্তোলনের কথা কিন্তু তারা উত্তোলন না করে আগের ইজারাদারের লোক খাজনা উত্তোলন করছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ খবির উদ্দিন বলেন, সপ্তাহে দু'দিন নয় একদিন হাট বসে। হাটে খাজনা উত্তোলন করেন এরা আমার লোক আমি এদের দিয়েই খাজনা তুলি ৬ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দেই।