সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ওই ফোন রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইরাল হয়। ওই রেকর্ডের একটি অংশে তিনি বলেন, ‘যারা নৌকা করে তারা রাজাকারের বাচ্চা!’
ওই অডিও রেকর্ডে তিনি বলেন, ‘আগে একজনকে দিয়ে সরাইতে হবে। দেবীদ্বারে কই? কোনো বিএনপি নেতা বাহির হইতে পারতাছে এখনও। আপনারা মিছিল মিটিং করেন, আমি সুযোগ করে দেই। অসুবিধা কি? আপনারা মিছিল-মিটিং করেন, তাইলেই তো বুঝবো আপনারা রাজনীতি করেন। আপনারা সময় আইলে একটু ইয়া করেন। এটা তো হবে না। রাজনীতি করতে গেলে নেতৃত্ব দিতে হবে, আর নেতৃত্ব দিতে গেলে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। আপনারা বিরোধীদল শক্ত না দেইখাই তো মামলা-হামলার ভয়ে মাঠে নামেন না। আমাদের একচেটিয়া কি একটা দেশ চলে? বিরোধী দল সব সময় স্ট্রং থাকতে হয়।’
এ সময় বিএনপি নেতা রুহুল আমিন হাসি দিয়ে বলেন, ‘দেশ তো চলতাছে একচেটিয়াই।’ উত্তরে তিনি বলেন, আপনি যদি সুযোগ দেন, কথাটা বুইঝেন, আপনি যদি গ্রামের শক্তিশালী হন, তাহলে নিরীহরা তো কথা না বললে গ্রামে যা ইচ্ছা তাই হবে। দেশে অপকর্ম হবে। ভালো কাজ কীভাবে হবে বলেন। দেশের আজকের এই অধঃপতনের জন্য দায়ী হলো আপনাদের বিরোধী দল। যারা নৌকা করে তারা তো সব রাজাকারের বাচ্চা।’
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা রোশন আলী মাস্টার বলেন, ‘আমারে বলতে হইবো না। এখনও …… (বাজে শব্দ উচ্চারণ করে বলেন) রাজনীতি ছাড়েন। কী করবেন রাজনীতি কইরা? যে দেশে টাকা দিলে নমিনেশন হয়, যে দেশে টাকায় মন্ত্রিত্ব পাওয়া যায়।’
ফোনালাপের কথা স্বীকার করে রোশন আলী বলেন, দেবীদ্বারে যারা আওয়ামী লীগ করেন আমি তাদের উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেছি। আমার কথার থেকে দেবীদ্বার বাদ দিয়ে এটা ছাড়া হয়েছে।
ফোনালাপে বিএনপি নেতার সাথে রোশন আলীর নৌকা সম্পর্কে এমন বিরূপ মন্তব্যে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। এটা ছাড়া আর কিছুই আমার বলার নেই।
ভোরের পাতা/কে