আফগানিস্তানে নারী অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো যে অভিযোগ করছে তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান।
তালেবানের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপ মুখপাত্র আনামুল্লাহ সামানগানি সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) কাবুলে বলেছেন, তালেবান সরকারের হাতে আফগান নারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার একমাত্র উদ্দেশ্য তালেবান সরকারকে দুর্বল করা।
তিনি আরো বলেন, তালেবান সরকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তাদের সবার শিক্ষা গ্রহণ ও চাকরি করার সুযোগ সংরক্ষিত রয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, তালেবান সরকার নারীদের লক্ষ্য করে যে বিধিমালা জারি করেছে তাতে নারীদের অধিকার সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
এর আগে তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আব্দুল বাকি হক্কানি রোববার কাবুলে বলেছিলেন, আমরা মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের বিরোধী নই বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের সহশিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধী। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছি যেখানে ছেলে এবং মেয়েরা সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে।
চার মাসেরও বেশি সময় আগে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করে। তারা নারী শিক্ষার বিরোধী নয় বলে দাবি করে আসলেও দেশটির বেশিরভাগ প্রদেশে বর্তমানে প্রাইমারি পর্যায় পর্যন্ত মেয়েদের লেখাপড়া করার সুযোগ রাখা হয়েছে। ক্লাস সিক্স থেকে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না।
এছাড়া, রবিবার তালেবান এমন এক বিধিমালা জারি করেছে যার ফলে কোনো নারী পুরুষ সঙ্গী ছাড়া একাকী দূরের পথে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সিতে চড়তে পারবে না। সূত্র: পার্সটুডে