প্রকাশ: সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:২১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
মূলধন থেকে ১০ হাজার ৫শ কোটি টাকা খেয়ে ফেলেছে ৫ সরকারি ব্যাংক। অনিয়ম-দুর্নীতি করে বিপুল ঋণ, সংকটের প্রধান কারণ।
সোনালি, রূপালী, জনতা, অগ্রণী এবং বেসিক। ৬ সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৫টিরই এই চিত্র। নীতি সহায়তা, তাগাদা আর নির্দেশনা দিয়ে হয়রান কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকাররা বলছেন, এই ক্ষত সহজে কাটবে না।
সরকারি খাতের, সবচেয়ে বড়, সোনালী ব্যাংক। অর্থনীতিতে, অবদান যেমন আছে, বদনামের খাতাও লম্বা। অনিয়ম আর দুর্নীতির তালিকা যেন পাহাড় সমান।
সংকটের চিত্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাতে দেখানো হয়েছে সব ব্যাংকের মূলধন চিত্র। নাজুক সোনালী ব্যাংকের অবস্থা। আড়াই হাজার কোটি টাকা মূলধন হাওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের খাতায় তাই সোনালী এখন রং হারিয়ে বিবর্ণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংকটের এই কাতারে, ৬ সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৫টিতেই। বাছ-বিচার ছাড়া ঋণ, পাহাড় সমান করেছে মন্দ ঋণ। জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক নেই স্বস্তিতে। আর টাকার অংকটাও বড়, ১০ হাজার ৫শ কোটি টাকা।
বেসিক ব্যাংক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম চৌধুরী বলেন, বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, অগ্রণীর ২ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ১ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা মূলধন টানাটানিতে।
নানা নির্দেশনা দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর জনগণের করের টাকা থেকে মূলধনের আবদার ব্যাংকগুলোর।