প্রকাশ: রোববার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে লাগা আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই লঞ্চে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার। দ্বিতীয় সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে সেই রাতে ওই লঞ্চে করে বরগুনায় নিজ বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার ফুফাতো বোন। সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ যখন আগুনে জ্বলছিল তখন তিনি ভেবে পাচ্ছিলেন না কী করবেন। কারণ, তিনি সাঁতার জানেন না। এরপর মুঠোফোনে মাকে ফোন দেন। তখন মা তাকে পরামর্শ দেন। মায়ের পরামর্শে দুই বোন নদীতে ঝাঁপ দেন এবং প্রাণে বেঁচে যান। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ফাতেমা।
সংবাদমাধ্যমকে এই পরামর্শের কথা ফাতেমা আক্তারের পরিবারের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন জবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ফাতেমার ফুফাতো বোন সাঁতার জানতেন। তার মা তাকে ফুফাতো বোনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর বোনের সহায়তায় কোনো রকমে নদীর তীরে পৌঁছাতে পারে ফাতেমা।
তিনি জানান, এখন ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফাতেমা আক্তার। তার মা-বাবা দুজনই জবির কর্মচারী। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে রাজধানীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করার চিন্তাভাবনা করছে পরিবার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তার খোঁজখবর রাখছে।