চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৮৩৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে এ ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ৩৮ ইউপিতে ভোট হচ্ছে। বাকি ইউপিতে ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
এরই মধ্যে ভোটের আগে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের প্রচার বা নির্বাচনী কার্যক্রমে সংসদ সদস্য ও সরকারি সুবিধাভাগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার শনিবার বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সব সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে সমস্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা করেন তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দেশের ৮৪০ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর। এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় ভোটের তারিখ তিন দিন পিছিয়ে ২৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল।
চতুর্থ ধাপে ভোটের আগেই তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৯৫ জন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৮জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১২ জন। সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ১৩৫ জন।
দেশের ৫৮ জেলার ১১৮ উপজেলায় গত শুক্রবার মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর সোমবার পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার দিনগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত ট্র্যাক-পিকআপ চলাচল বন্ধ থাকবে। আরেক নির্দেশনায় শনিবার থেকে ভোটগ্রহণের দিন রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত নৌযান এবং স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সাংবাদিক, নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিতদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া প্রতি ইউপিতে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিনটি ইউপিতে তিনটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতি উপজেলায় র্যাবের দুইটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি উপজেলায় বিজিবি’র দুইটি মোবাইল ফোর্স (দুই প্লাটুন), একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স (এক প্লাটুন), প্রতি উপকূলীয় উপজেলায় কোস্টগার্ডের দুইটি মোবাইল টিম (দুই প্লাটুন) ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স (এক প্লাটুন), প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে।
চতুর্থ ধাপের এ ভোটে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ৮১৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নয় হাজার ৫১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩০ হাজার ১০৬ জন প্রার্থী ভোটের লড়াই করবেন। ৯ হাজার ২২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৪৯ হাজার ৮৩২টি ভোটকক্ষে এক কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এরই মধ্যে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ করেছে ইসি। পঞ্চম ধাপে ৭০৭টি ইউপিতে ৫ জানুয়ারি এবং ষষ্ঠ ধাপে ২১৯ ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।