বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ দুই পর্যটক ভাই-বোনের অবশেষে সন্ধান মিলেছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় বোন আদনীন বিনতে জহিরের (১৯) লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। পরে দুপুর দেড়টার দিকে উদ্ধার হয় ভাই আহনাফ আকিবের (২২) মরদেহ।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রোয়াংছড়ির তারাছা বান্দুরা ঝর্ণা নামক এলাকায় সাঙ্গু নদীতে গোসলে নেমে তিনজন পানিতে তলিয়ে যান। তাদের মধ্য থেকে প্রথম ডুবে যাওয়া মারিয়া নামের শিক্ষার্থীকে স্থানীয়রা ঘটনার পরপরই উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গুণজন চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ফায়ার সার্ভিস তাকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়া দুই ভাই-বোনের খোঁজ শুরু করে। আজ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
উদ্ধার হওয়া আদনান ব্র্যাক ইউনির্ভাসিটির কম্পিউটার সায়েন্সের ২য় বর্ষের ছাত্র ও তার ছোট বোন আদনীন নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী। তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের ফতুল্লার ইচদারগ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের সন্তান।
তাদের মামা শামীম আহম্মেদ জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০জনের একটি দল গত ২২ডিসেম্বর সকালে বান্দরবান ভ্রমণে আসেন। তারা বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে দেখেন। শুক্রবার বিকালে তারা নৌকা নিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের তারাছা ঝর্ণায় পৌঁছান। ঝর্ণা দেখার পরে তারা সবাই সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নামেন। নদীতে মারিয়া তলিয়ে গেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন আহনাফ ও আদনীন। সাঁতার না জানায় তারা পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান ইঞ্জিন নৌকাচালক সনজিত। ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা মারিয়াকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠান। তখন আহনাফ ও আদনীনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান সনজিত। তখন থেকে তারা দুই ভাই বোন নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান মৃতের মামা শামীম।