এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কুয়েতকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২২২ রানের জয়ে সেমিফাইনালও প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশের যুবারা।
গ্রুপের অন্য দলগুলোর মধ্যে কেবল শ্রীলংকায় এক ম্যাচে জয় পেয়েছে। আর বাকি দুই দলের মধ্যে কুয়েত হেরেছে দুটিতে, নেপালের হার এক ম্যাচে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহফিজুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে কুয়েতের বিপক্ষে পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ১০ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করে রাকিবুল হাসান বাহিনী। তরুণতুর্কি মাহফিজুল একাই করেন ১১২ রান। এমন অনবদ্য ব্যাটিং করার পথে ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকায় সে।
এদিকে, পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুয়েতের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান তুলতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙে তাদের। এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে কুয়েত। দলটিকে ২২২ রানে হারিয়েছে বাংলার যুবারা।
কুয়েতের পক্ষে দলটির অধিনায়ক মিত ভভসার যা একটু প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি ৪৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। তবে আর কেউ ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো ছিল না। মাত্র ৩ রানেই ওপেনার ইফতেখার হোসেনকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ইফতেখার ফিরে যান ব্যক্তিগত ২ রানে। এরপর আইচ মোল্লাকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন মাহফিজুল। আইচ মোল্লা ২০ রান করে শিকার হন আবদুল্লাহ ফারুকের। এরপর মাহফিজুল ও আরিফুল ইসলাম মিলে ৫৩ রান তোলেন।
বাংলাদেশ যখন চতুর্থ উইকেট হারায় তখন স্কোর বোর্ডে রান ১৮৪। মাহফিজুল আউট হন দলীয় ১৯৭ রানে। ১১৯ বলে ১১২ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। শেষ দিকে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহে আশা দেখাচ্ছিলেন মেহরব। কুয়েতি বোলারদের ওপর ব্যাটিং তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ বলে ১৭৫ স্ট্রাইকরেটে ৪২ রান করার পর আবদুল সাদিকের শিকারে পরিণত হন।
এরপর প্রায় থমকে দাঁড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৩০০ আশা করা হলেও শেষ পর্যন্ত আর সেটি হয়নি। বাকিদের মধ্যে তাহজিবুল ইসলাম ২৫, রাকিবুল হাসান ২১, মুশফিক হাসান ১৩, নাইমুর রহমান ১০ ও রিপন মণ্ডল ৮ রান করেন। কুয়েতের হয়ে ৩ উইকেট নেন আবদুল সাদিক। দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ উমর ও হেনরি থমাস।
এর আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন যুবা টাইগার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। ১১২ বলে ১২৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নাবিলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও একটি ছয়ের মার। সে ম্যাচে নেপাল হেরেছিল ১৫৪ রানের বড় ব্যবধানে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে রাকিবুল হাসানরা। জবাবে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৯.২ ওভার, ২৯১/১০; (মাহফিজুল ১১২, ইফতেখার ২, আইচ ২০, আরিফুল ২৩, তাহজিবুল ২৫, মেহরব ৪২, নাবিল ৫, নাইমুর ১০, রাকিবুল ২১, মুশফিক ১৩*, রিপন ৮); (আব্দুল সাদিক ৮.২-০-৪০-৩, হেনরি থমাস ৭-০-৪৮-২, মোহাম্মদ ওমর ৭-০-৪৫-২, মিরাজ ৬-১-২৯-১, আব্দুল্লাহ ফারুক ৭-১-৩৩-১, বাস্তাকি ২-০-২৪-১)।
কুয়েত অনূর্ধ্ব-১৯: ২৫.৩ ওভার। ৬৯/১০; (মিত ৪৩, জুড ২, সাদিক ১, উমার ০, জহির ২, বাস্তাকি ১, ফারুক ০, হেনরি ১, মির্জা ১১, জিসান ০, হ্যাবিয়ের ০*); (মুশফিক ৭-০-১৯-১, রিপন ৮-৩-১০-৩, নাইমুর ৪-১-১৫-১, মেহরব ৫-১-১৪-২, রাকিবুল ১.৩-০-১১-২)।
ভোরের পাতা/কে