প্রকাশ: শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও বড়দিনের আয়োজন চলছে জনসমাগম সীমিত রেখে; স্বাস্থ্য বিধি মেনে পালন করা হচ্ছে গির্জায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। এ সময় চলমান মহামারী থেকে মুক্তি এবং সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় যিশুর আগমনী দিন উদযাপন করছে দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
শনিবার সকাল ৮টায় কাকরাইলের সেন্ট মেরিস গির্জায় প্রার্থনা শুরু হয়ে ৯টায় শেষ হয়। প্রার্থনায় যাযক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি হোক। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোর মানুষের শান্তি বজায় থাকুক।’এসময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেও স্মরণ করা হয়।
গতবারের মত এবারও করোনার কারণে বড়দিনের আয়োজনে চাকচিক্যও কম। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেউ গির্জায় ঢুকতে পারছে না।
তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে সকাল ৭টায় শুরু হয় প্রার্থনা। বিরতি দিয়ে আবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ১০টায় শেষ হয়। সেখানেও দেশের মানুষের শান্তি কামনা ও করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়।
মহাখালীর লুর্দের রানীর গির্জা, লক্ষ্মীবাজারের ক্রুশ ধর্মপল্লী, মোহাম্মদপুরের সেন্ট ক্রিস্টিনা গির্জা, মিরপুর-২ এর মিরপুর ক্যাথলিক গির্জা, কাফরুলের সেন্ট লরেন্স চার্চগুলো বড়দিন উপলক্ষে সেজেছে। ক্রিসমাস ট্রি থেকে ঝুলছে আলোর মালা। বানানো হয়েছে খ্রিস্টের জন্মের ঘটনার প্রতীক গোশালা। সেই সঙ্গে বড় দিনের কেক তো আছেই।
বড়দিন আজ হলেও আগের রাত থেকেই উৎসবে মেতে ওঠেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা। অভিজাত হোটেলগুলোতে কর হয় বড়দিনের বিশেষ আয়োজন। হোটেলগুলোতে শিশুদের জন্য দিনভর রয়েছে বিভিন্ন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা।