গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়েনি। অথচ বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রে সভা করে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যাংকলরিতে জ্বালানি পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে খুলনা বিভাগীয় কমিটি একাত্মতা প্রকাশ করে সভা করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় সভায় বলা হয়েছে, ৪ নভেম্বর জ্বালানি তেল ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। অথচ তেলের মূল্য বৃদ্ধির অনেক আগে থেকেই ট্যাংকলরির চেসিস, ট্যাংকার, আয়কর বৃদ্ধি (৮ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা) খুচরা যন্ত্রাংশসহ ড্রাইভারের বেতন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্যাংকলরিতে বিনিয়োগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন থেকেই ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্টদের বারবার পত্র দেওয়া হলেও ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি।
সভায় আরও বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্যাংকলরি পরিবহনে জ্বালানি খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের কয়েকটি পত্র দেওয়া হয়েছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধির দুই দিন পরেই বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হলেও ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। কৃষি ও পাওয়ার স্টেশনকে সচল রাখতে এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে লোকসান দিয়ে ট্যাংকলরি পরিবহন কার্যাদি সচল রাখা হয়েছে।
বর্তমানে লোকসানের মাত্রা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সংশ্লিষ্টদের ট্যাংকলরির প্রতি অবহেলা বা বিমাতাসূলভ আচরণে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যাংকলরিতে জ্বালানি পরিবহন বন্ধ থাকবে, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সভার মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় কমিটি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে এবং খুলনা বিভাগসহ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় সর্বাত্মক ৩ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যাংকলরিতে জ্বালানি পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।