গতকাল মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের এই প্রস্তাবকে দ্রুত স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি বলেন, “বড় খবর। এটি আমাদের ওমিক্রনের ঢেউ অতিক্রম করতে সাহায্য করবে।”
এ বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করার জন্য কর্মকর্তাদের নিদের্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ওমিক্রন আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে ইসরায়েলে। জানা মতে দেশটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যুর ঘটনা এটি। এরপরই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা চতুর্থ ডোজের প্রস্তাব দেন।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অন্তত ৩৪০ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আরেকটি বুস্টার ডোজ দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত এখনও ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তবে বেনেটের দপ্তর বিবিসিকে জানিয়েছে, তৃতীয় ডোজ পাওয়ার অন্তত চার মাস পর লোকজনকে এ ডোজ দেওয়া যাবে বলে আশা করছে তারা।
লোকজনকে যত দ্রুত সম্ভব এই প্রস্তাব গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনেট।
যখন কোভিড-১৯ টিকার কর্মসূচী প্রথম শুরু হয় তখন ইসরায়েল দ্রুত টিকা দেওয়া শুরু করে আর অধিকাংশ মানুষই টিকার আওতায় চলে আসে। কিন্তু তারপরও দেশটির ৯৩ লাখ জনসংখ্যার মাত্র ৬৩ শতাংশ টিকার দুটি ডোজই পান। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশের বয়স ১৪ বছরের নিচে হওয়া এর একটি কারণ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মোকাবেলায় পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুরাও টিকা পেতে পারে বলে নভেম্বরে ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। সোমবার বেনেট বলেছেন, তিনি চান প্রত্যেক যোগ্য শিশু আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে টিকার আওতায় আসুক।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় বিদেশিদের ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি নিজ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েল।
দেশটি মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে। আর জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২০০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।