তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ করবো মিথ্যাচার-বিভ্রান্তি বন্ধ করে আপনারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিন, আপনাদের মতামত সেখানে পেশ করুন। আপনাদের যদি ভালো পরামর্শ থাকে, অবশ্যই সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিবেচনা করতে পারেন। সে পরামর্শ আপনারা দিন।
হানিফ বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করছেন। আগামী বছরের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন করবে আওয়ামী লীগ সরকার এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কাছে তারা তাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন জানিয়ে হানিফ বলেন, ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। তাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, আমি ও প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনারা তো রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। আপনারা নির্বাচন কমিশন আইন গঠন করেননি কেন? নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আপনারা যে কলঙ্ক তৈরি করে দিয়ে গেছেন, সেটি এখনো জাতির মনে আছে। আজিজ সাহেব মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন। এক কোটি বিশ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়ে তালিকা করেছিলেন। এসব মিথ্যা অপকর্ম ঢাকার জন্যই এখন নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার করছেন।
হানিফ আরও বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা ১২ বছর সময় পার করেছি। এ ১২ বছরে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের সময় পার হয়েছে। জাতির বহু প্রত্যাশিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও আমাদের করতে হয়েছে। সবচেয়ে যে বড় আঘাতটা আমাদের এসেছিল, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ক্ষমতায় আসার পরেই এমন একটি ঘটনা আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আর সেটির বিচারও করেছি। এতো সব কাজের মধ্যে নির্বাচন কমিশন আইনটি গঠন করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, লাগাতার মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা (বিএনপি)। যারা ধর্মের নামে ফতোয়া দিয়েছিলেন সেই জামায়াতকে রাজনীতি করতে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বেঈমানি করেছিলেন বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করেছিলেন তিনি।
ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে মানুষকে ধর্মান্ধ করা হচ্ছে— মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর এ দেশে যারা ক্ষমতা দখল করে বসেছিলো, তাদের নেতৃত্বেই আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। পঁচাত্তরের পর থেকে এ জাতিকে তারা উল্টো পথে নিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্মকে রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তারা সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযুক্ত করেছে। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে কি লাভ, কি ক্ষতি সেটা আমি জানি না। কারণ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তার চিন্তা-চেতনা সংবিধানের আলোকে করে না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, বাংলার মুখের সভাপতি সাইফুল আজম বাশার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে রাজধানীতে শোভাযাত্রা রেব করা হয়। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
ভোরের পাতা/কে