পবিত্র কোরআনে ৩০টি পারা ও দুই শত ৪০টি রুকু রয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ছয় হাজার ৩৬। আর আবদুর রহমান এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছে। দীর্ঘ সাত ঘণ্টায় সে মনোযোগসহ পুরো কোরআন তিলাওয়াত করেছে।
তুরস্কের কোনিয়া শহরে আবদুর রহমান বাস করে বর্তমানে। সে সেখানকার স্থানীয় সেলজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছে। মূলত সে সিরিয়ার ঐতিহাসিক হালব শহরের অধিবাসী।
২০ বছর বয়সী আবদুর রহমানের স্বপ্ন ছিল— রাতেরবেলা নামাজে পুরো কোরআন খতম করা। কারণ, ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান বিন আফফান (রা.) তাহাজ্জুদ নামাজের এক রাকাতে পুরো কোরআন শেষ করেছেন বলে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। মূলত বিখ্যাত সাহাবির এ ঘটনা তাকে অনুপ্রাণিত করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবের এক ভিডিওতে আবদুর রহমান এমনটা জানায়।
ভিডিও আবদুর রহমান আরও জানায়, এক রাকাতে কোরআন খতমের স্বপ্ন পূরণে— অবশ্য এর আগেও অনেক বার সে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে, তবে নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছিল অনড়। তাই অনেক বারের ব্যর্থতা তাকে প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। আর এক রাকাতে কোরআন খতম করে খ্যাতি পাওয়া বা ভাইরাল হওয়া তার উদ্দেশ্য নয়। বরং একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ তার উদ্দেশ্য। এমনটাই দাবি করেছে সে।
আবদুর রহমানের দাবি অনুযায়ী জানা যায়, রাত ১১টায় আবদুর অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণে নামাজে দাঁড়ায় সে। এরপর দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর ভোর ৬টায় তিনি কোরআন খতম করে নামাজ শেষ করে। সে এমন সময় নির্বাচন করেন যে, সময়ে ক্লান্তি ও পরিশ্রম কম হবে এবং পুরো কোরআন শেষ করা সম্ভব হবে। তাই শীতের রাতের সময়কে বেছে নেয়। কারণ, গ্রীষ্মকালে অল্প কাজেই ক্লান্তি ও ঘেমে যায়। তাছাড়া গ্রীষ্মের রাতের চেয়ে শীতের রাত দীর্ঘ হয়।
আবদুর রহমান আরও জানায়, এছাড়া নামাজের স্থান হিসেবে মসজিদকে বেছে নেয় সে। কারণ, ঘরে সময় নষ্টের সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও পরিবারের কেউ তার মনোযোগ বিঘ্ন তৈরি করতে পারে। তবে নামাজ শেষ করে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ সবার জন্য দোয়া করে সে।
ভোরের পাতা/কে