প্রকাশ: সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বর্তমান বিশ্বে মহিলা নেত্রীদের মধ্যে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাই প্রধান। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উনি বাঙালিদের জন্য যা করেছেন সেটা সত্যিই অনস্বীকার্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে আমাদের অনেক বাঙালি আছেন যারা তার বিরুদ্ধে বিদেশের বসে কথা বলেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে শেখ হাসিনা একজন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থার কারণে আজ এই অর্জন আমরা অর্জিত করতে পেরেছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৫৯তম পর্বে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, ইতালি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন, ইতালি আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, গফরগাঁও কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস, গফরগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহামদ শাহজাহান শাজু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মোহামদ শাহজাহান শাজু বলেন, আমি প্রথমেই আমার বক্তব্যের শুরুতে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি আমরা। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনে দিনে রাষ্ট্রের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। জনমানুষের নেতা হতে হলে যে রাজপথের কর্মী হতে হয়, তা তিনি আমাদের শিখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছেন। এভাবে ক্রমাগত সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার আত্মবিশ্বাস আমাদের মধ্যে গড়ে তুলেছেন। সততার শক্তিতে আমাদের উজ্জীবিত হতে অনুপ্রাণিত করেছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়ার কর্মকৌশল তিনি গ্রহণ করেছেন। অন্যায় ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বারবার তার জীবন বিপন্ন হয়েছে। কিন্তু তিনি মৃত্যুকে কখনও ভয় করেননি; বরং জনগণের কল্যাণে তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন, দেশের হাল ধরেছেন। উন্নয়নের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে তার চিন্তাশীলতার প্রয়োগ ঘটেনি। এ চিন্তাশীলতা তিনি নিজের মধ্যে না রেখে তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের এই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র এবং দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ সালে তাঁর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি তাঁর সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তৃতীয় মেয়াদেই ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন। বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত আছে।