প্রকাশ: সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৫৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরাও নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা।
পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইউপির অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনায়।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন। তারা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের বয়ানসহ ইউনিয়নে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন সংলগ্ন ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী রয়েছেন ৫ জন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আব্দুল মতিন হাওলাদার, স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সুখন চৌধুরী, মোটর সাইকেল প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সুমন মিয়া, হাতপাখা প্রতীকে মোঃ আবু বকর, চশমা প্রতীকে আলহাজ মোঃ মুসা আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট যুদ্ধে একে অপরের সাথে লড়বেন। এ লক্ষ্যে প্রার্থীরা তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ইউনিয়নটিতে নৌকা প্রতীকে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিন হাওলাদার প্রচারণার দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সুমন মিয়া, মোঃআবু বকর, মোঃ মুসার চাইতে সুখন চৌধূরীকে প্রচার-প্রচারণায় অনেকটাই এগিয়ে থাকতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ফুরফুরে মেজাজেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এমনকি বিগত দিনের জনকল্যাণমুখী নানা কার্যক্রমের সুফল হিসেবে স্থানীয় ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে সুখন চৌধুরীর ঝুলিতে। সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ নানা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সুখন চৌধুরীর অসামান্য অবদান এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সুখে দুঃখে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগীর সুফল হিসেবে ইউনিয়নের মানুষের কাছে সুখন চৌধুরীর গ্রহণযোগ্যতাও কম নয়। তবে ইউনিয়নের অনেকে বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন কার জনসমর্থনের অবস্থান কোথায় সেটি নির্বাচনের দিনই আন্দাজ করা যাবে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থীদের চাইতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন বেশী হওয়ায় মাঝিসহ নৌকার ভরাডুবির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বহিরাগত লোকজন নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়নটির একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুখন চৌধুরী বলেন, আমাকে যদি ইউনিয়ন বাসী যোগ্য মনে করেন তাহলে তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। যেহেতু ইউনিয়নের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমি যেমন কাজ করে গেছি তেমনি আমার প্রত্যাশা ইউনিয়ন মানুষের সার্বিক উন্নয়নকে ঘিরেই। সেহেতু ইউনিয়নের মানুষ আমার জন্য নয় বরং তাদের উন্নয়নের স্বার্থে হলেও তারা আমাকেই ভোট দিবেন।
ভোরের পাতা/কে
নতুন বছরে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির আরও পরিবর্তন দেখতে চাই: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা
এ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে: অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া
২০২২ সালে বাংলাদেশে আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী
৫৪ বছর বয়সে এসএসসি পাস
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সেই এএসআই
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা, গণতন্ত্র ও নির্বাচন
