শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা
প্রকাশ: রোববার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিজয়ের দিন আমরা উদযাপন করলাম এবং গতকাল আমরা সারা দেশে বিশেষ এক উন্নয়নের শোভাযাত্রা উদযাপন করলাম, আমরা আনন্দের মধ্য দিয়ে এই বিজয় উদযাপন করছি। সত্যিকার অর্থেই আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে আমাদের জীবদ্দশায় আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৫৮তম পর্বে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের বিষয় সামনে রেখে পরিচালিত হয়েছে। শুধু পাকিস্তানের নিপীড়নমূলক শাসন থেকে মুক্তি পাওয়াই স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল না। একটি শোষণবিহীন ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই জাতির পিতা দেশে ফিরে শাসনক্ষমতা গ্রহণের পরপরই স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। সংবিধানে চারটি মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা অন্তর্ভুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন করার লক্ষে বঙ্গবন্ধু যে যখন দেশের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত তৈরি করার কাজে নেমে পড়েছিলেন ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশি চক্রের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে সংঘটিত হয় বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক, ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য যেমনি, তেমনি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য ছিল এক মহাবিপর্যয়কর ঘটনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়ে অবশেষে ১৭ মে ১৯৮১ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রিয় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ‘ভোট ও ভাতের’ অধিকার আদায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুরু হয় তার জীবনের এক সুদীর্ঘ সংগ্রাম। শেখ হাসিনার এ সংগ্রামে জাতির পিতার মতো হাতিয়ার ছিল সততার আদর্শ ও শক্তি, লক্ষ্য অর্জনে তার সম্পূর্ণ নিবেদিত প্রাণ, জনগণের কল্যাণে শতভাগ অঙ্গীকার, তার প্রতি জনগণের অগাধ বিশ্বাস ও মমত্ববোধ, সর্বোপরি দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের মতো নিবেদিতপ্রাণ কর্মীনির্ভর শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন। ১৯৮১ সাল থেকে প্রায় ৪ দশক ধরে তিনি সভানেত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগের সফল নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী নানা পরিকল্পনার সুফল এখন মানুষের দোরগোড়ায়। মানুষের গড় আয়ু, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বিভিন্ন কাজে ডিজিটালাইজেশন, সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে।