আগামী বছর বাংলাদেশ সফর করবেন এরদোয়ান
আগামী বছর সুবিধাজনক সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস জানায়, ইস্তাম্বুলে বিজয় দিবসের ৫০ বছরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল এ কথা বলেন।
কনসাল জেনারেল আশা প্রকাশ করেন, এরদোয়ানের বাংলাদেশ সফরের মধ্যদিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নব উচ্চতা ও নতুন মাত্রা লাভ করবে।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কনসাল জেনারেল গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি আরও স্মরণ করেন, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র আমাদের একটি সার্বভৌম দেশ ও জাতিসত্ত্বা, নিজস্ব মানচিত্র এবং লাল সবুজ পতাকাই দেননি, তিনি দিয়েছিলেন একটি স্বপ্ন-সোনার বাংলা-ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে চলেছে।
কনসাল জেনারেল তুর্কি সহকর্মী ও বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে। তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব এখন অনেক শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত। এ সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর তুরস্কের সফরের মধ্যদিয়ে এ সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ইস্তাম্বুলের উদ্যোগে ও শাকিল রেজা ইফতির পরিচালনায় নির্মিত তুরস্কে বঙ্গবন্ধু প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, এটিই বঙ্গন্ধুর ওপর তুর্কি ভাষায় নির্মিত প্রথম প্রামাণ্যচিত্র যেখানে তুর্কির প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, লেখক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ীরা, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তার ভাবনা ও অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর ফটো প্রদর্শনী' দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে, বাংলাদেশ ও তুর্কি শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয় যেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ থেকে আসা জনপ্রিয় চিত্রতারকা অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা বর্ষা, যাদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানের আনন্দের মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।