#এবারের বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্য ও গৌরবের: নাসির উদ্দিন আহমেদ। #শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত: ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়।
এবারের বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্য ও গৌরবের। এবারের বিজয় দিবস স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর। এবারের বিজয় দিবস উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হওয়ার বিজয় দিবস। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে উন্নয়নের সকল ফাউন্ডেশন গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন এবং দিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ব সেরা সংবিধান যেখানে বলা ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে বাংলাদেশকে সেই পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহর রহমতে ১৯৭১ সালের ১৭ মে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, জীবনকে তুচ্ছ করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে ফিরেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৫৭তম পর্বে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারের বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্য ও গৌরবের। এবারের বিজয় দিবস স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর। এবারের বিজয় দিবস উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হওয়ার বিজয় দিবস। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে উন্নয়নের সকল ফাউন্ডেশন গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন এবং দিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ব সেরা সংবিধান যেখানে বলা ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে বাংলাদেশকে সেই পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহর রহমতে ১৯৭১ সালের ১৭ মে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, জীবনকে তুচ্ছ করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে গিয়েছেন। বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি সংমিশ্রণ করে জিডিপি গ্রোথ, রফতানিসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন সমগ্র বিশ্ব আজ বিস্ময়ে দেখছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ, স্যানিটেশনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। যার স্বীকৃতি দিয়ে চলছে বিশ্ব সম্প্রদায়ও। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ কন্যা স্বাধীন বাংলাদেশে পিতার মতোই সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। পিতা-মাতা স্বজন হারানোর সীমাহীন বেদনার মাঝেও তিনি অসীম সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে লড়াই করেছেন। তিনি বাংলার জনগণের মাঝেই খুঁজে নিয়েছেন স্বজনদের, দেশের মানুষের জন্য সঁপে দিয়েছেন জীবনের সবটুকু সময়, তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য অগ্রযাত্রায় সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, ভিশনারি নেতৃত্বে। মানবিক গুণসম্পন্ন এই মানুষটি জনতার নেত্রী, আমাদের নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনন-মেধা, সততা-নিষ্ঠা, প্রখর দক্ষতা এবং সৃজনশীল উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাঁর সফল ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখছে ২০৪১ সালের আগেই একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হওয়ার।
ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় বলেন, আমরা বাঙালি জাতি আসলেই সৌভাগ্যবান যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনের পাশাপাশি এবারের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী একই সাথে উদযাপন করেছি। আমি মনে করি এটি আমাদের বাঙালি জাতির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এবং আমরা সেই সৌভাগ্যবান প্রজন্ম যে প্রজন্ম এই দুইটি ঐতিহাসিক ক্ষণের সাক্ষি হয়েছি। এই প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেনি কিন্তু যে অর্জন এই প্রজন্ম পেয়েছে সেটা আসলেই অনেক সৌভাগ্যের। আজ বিজয়ের ৫০ বছরের প্রান্তে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকালে দেখতে পাবো যে এই পঞ্চাশ বছরে আমরা কতদূর এগিয়েছি। আর এই এতো দূরে এগিয়ে যাওয়ার যিনি নায়ক তিনি হচ্ছেন তাঁর কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার-এরকম কঠিন কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি সোনার বাংলা গড়ার যাত্রাকে তিনি আলাদা মাত্রা দিয়েছেন। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের এ ত্রিমাত্রিক বৈশিষ্ট্য শেখ হাসিনার হাতে আলাদা গতি পেয়েছে। এখন আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি, সেই সঙ্গে বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উৎকর্ষের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অর্জন অনেক-শতভাগ বিদ্যুৎ, শিক্ষা, সমুদ্র বিজয়, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন, বিশ্বসভায় পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন মানবহিতকর কাজ মিলে এ ৫০ বছরে বিশ্বসভায় আমাদের অবস্থান এখন অনেক সুদৃঢ়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির যে বিস্তরণ, তার সংক্রমণ বাংলাদেশেও ঘটেছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করেছিলেন, পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল রাষ্ট্র বাংলাদেশ করোনা মহামারিতে নাকাল হবে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিচক্ষণতার কারণে এ মহামারি ভালোভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা এখন প্রধান লক্ষ্য তাঁর। সেটির জন্য দেশের মানুষের উচিত সরকারের সফলতার পথে সহযোগিতা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্বে দিচ্ছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশের রত্ন নয়, তিনি বিশ্বরত্ন। তিনি বাঙালি জাতির চেতনার প্রতীক। আমাদের অহংকার। যার অপ্রতিরোধ্য পথ চলায় বাংলাদেশ আজ ছুটে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে।