স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীতে বিজয় শোভাযাত্রা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শোভাযাত্রা শুর হয়। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে এটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বিজয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপুরের আগ থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। এতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ, কৃষক লীগ থেকে শুরু করে দলের সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকে স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি দেখা গেছে। একেক জনের গায়ে দেখা গেছে বিজয়ের সাঁজ। কেউ কেউ নিজেদের জড়িয়েছেন পতাকার আদলে তৈরি পোশাকে। এছাড়া মাথায় পতাকা ও বিজয়ের নানান চিহ্ন এঁকেছেন আওয়ামী নেতাকর্মীরা।
দুপুরের আগে থেকে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ গাড়ি, কেউ প্রাইভেট কার, কেউ পিকআপভ্যান, কেউ ট্রাকে করে আবার কেউবা মোটরসাইকেল যোগে এসেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায়।
বিজয় শোভাযাত্রা সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক বিজয় শোভাযাত্রার জন্য জনগণের যে ট্রাফিক অসুবিধা হবে, তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা ঢাকার জনগণকে এই বিজয় শোভাযাত্রায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ শুক্রবার সকালে ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ বাস্তবায়ন ও সফল করতে জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে এসব কথা বলেন নানক।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। এরপর শাহবাগ, অ্যালিফ্যাট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
শোভাযাত্রায় রাজধানী ঢাকার উত্তর প্রান্ত থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের হাতিরঝিল, মগবাজার ও মৎস্যভবনের সড়কসমূহ এবং ঢাকার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের গুলিস্তান, হাইকোর্ট মাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কসমূহ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সড়কসমূহ সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।