প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ পিএম আপডেট: ১৭.১২.২০২১ ১২:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কোনো অপারেশন ছাড়াই কেবল ল্যাপারস্কোপি এবং অ্যান্ডোস্কোপির মাধ্যমে ৫০ বছর বয়সী ওই রোগীর কিডনি থেকে ১৫৬টি পাথর বের করেছেন চিকিৎসকরা। একজন রোগীর কিডনি থেকে এতো সংখ্যক পাথর বের করার এমন ঘটনা বিরল। এমন ব্যতিক্রম এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৫০ বছর বয়সী এক রোগীর কিডনি থেকে তারা ১৫৬টি পাথর বের করেছেন। তাদের ভাষ্য, প্রথাগত বড় কোনো অস্ত্রপ্রচারের বদলে তারা ল্যাপারোস্কোপি ও অ্যান্ডোস্কোপি পদ্ধতি অনুসরণ করে পাথরগুলো বাইরে বের করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লাগে মোট তিন ঘণ্টা। এছাড়া বড় কোনো অপারেশন ছাড়াই কোনো রোগীরর শরীর থেকে এতো বিপুল সংখ্যায় পাথর বের হওয়ার ঘটনা ভারতে প্রথম বলেও দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
হায়দ্রাবাদের ওই হাসপাতালের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কিডনি থেকে পাথর বের করা ওই রোগীর নাম বাসবরাজ মাদিওয়ালার। তিনি কর্নাটকের হুবলি শহর থেকে চিকিৎসার জন্য হায়দ্রাবাদে আসেন। কিডনি থেকে এতোসংখ্যক পাথর বের করার পর বাসবরাজ এখন পুরোপুরি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন।
বাসবরাজ মাদিওয়ালার পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। সম্প্রতি হঠাৎ করেই তলপেটে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। এরপরই চিকিৎসকদের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তার কিডনিতে পাথর রয়েছে। এরপরই বড় কোনো অপারেশন ছাড়া কেবল ল্যাপারোস্কপি এবং অ্যান্ডোস্কপির মাধ্যমে সেসব পাথর বের করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৫০ বছর বয়সী বাসবরাজের অ্যাক্টোপিক কিডনিও ছিল, কারণ তার মূত্রনালি স্বাভাবিক অবস্থানের পরিবর্তে তার পেটের কাছে অবস্থিত ছিল। অবশ্য কিডনির অবস্থানে অস্বাভাবিকতার কারণে রোগীর কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু সেখান থেকে পাথরগুলো বের করে আনার কাজ বেশ কঠিনই ছিল।
হায়দ্রাবাদের ওই বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. ভি চন্দ্রমোহন জানিয়েছেন, ‘খুব সম্ভবত গত দু’বছর ধরে রোগীর দেহে এই পাথরগুলো জন্ম নিয়েছে। কিন্তু আগে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। হঠাৎ করে ব্যথা অনুভব করার পরই তার যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয় এবং পরীক্ষার রিপোর্টেই পাথরের উপস্থিতি ধরা পড়ে।’
তিনি আরও বরৈন, সব কিছু বিবেচনা করেই আমরা ল্যাপারস্কোপি এবং অ্যান্ডোস্কোপির মাধ্যমে পাথরগুলো বের করে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রথাগত অপারেশন ছাড়াই এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’