প্রকাশ: বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যে ভূখণ্ডের মানুষ কখনোই বাসস্থানের কথা চিন্তা করতে পারেননি, যে ভূখণ্ডের মানুষ কখনোই ভাত-কাপড়ের কথা চিন্তা করতে পারেননি, যে ভূখণ্ডের মানুষগুলোর কোন কিছুতেই যাদের কোন পরিচয় ছিলো না, সে মানুষগুলো আজ জাগ্রত হয়েছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্বকে জয় করেছে। একটি দারিদ্র্যপীড়িত, অনাহারেপৃষ্ঠ একটি জাতি আজ উন্নয়নের আলোকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আজ এই জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে জানান দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে সব জায়গায় আজ বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেকগুণ বেশি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৫৪তম পর্বে বুধবার এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, যে ভূখণ্ডের মানুষ কখনোই বাসস্থানের কথা চিন্তা করতে পারেননি, যে ভূখ-ের মানুষ কখনোই মোটা ভাত কাপড়ের কথা চিন্তা করতে পারেননি, যে ভূখ-ের মানুষগুলোর কোন কিছুতেই যাদের কোন পরিচয় ছিলো না, সে মানুষগুলো আজ জাগ্রত হয়েছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্বকে জয় করেছে। এদেশে শিক্ষার অভাব ছিল, আজ এদেশের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে লেখাপড়া করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জিয়া-মোশতাকের নীল নকশায় আমরা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হারালাম, তবে বেলজিয়াম থাকার সুবাদে অলৌকিকভাবে ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের মানুষকে এগিয়ে যাওয়ার সকল উদ্যম রহিত হয়, মানসিকভাবে হতোদ্যম এদেশবাসী ২১ বছর সামরিক শাসকদের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হতে থাকে। এরপর ১৯৯৬ সাল; প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যখন বাঙালির অহংকার হয়ে উঠলেন, তখন থেকেই তিনি জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি নিয়ে মানুষের সামনে দাঁড়ালেন। দেশের রাজনীতিতে সমাজ সংস্কার আর অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়ে উঠল মূলমন্ত্র; বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মঙ্গল চিন্তায় ব্যাপিত হলেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগুতে শুরু করলো। ১৯৮১ সাল থেকে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে চারদশক দলীয় সভাপতি, টানা তৃতীয় মেয়াদসহ প্রায় ১৮ বছর সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। শুধু বাংলাদেশ নয় বর্তমান বিশ্বের আর কোন রাজনৈতিক নেতার এমন ইতিহাস নেই। দেশরতœ শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রের বেশির ভাগ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে। করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে অনুকরণীয় রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। তারই দক্ষ নেতৃত্বে এ বছর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠার মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশ ও ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও টেকসই ব-দ্বীপে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে।