প্রকাশ: বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রকেও নিশ্চিত করতে হবে, তাকে বিকশিত করতে হবে। ৫০ বছরে এদেশের উন্নয়ন যেমন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন শাসকের হাতে গণতন্ত্রও পর্যুদস্ত হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার ধ্বংস সাধন হয়েছে। এখন যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে, তেমনি গণতন্ত্রেরও উত্তরণ ঘটাতে হবে। উত্তরণ ঘটাতে হবে নির্বাচনী ব্যবস্থার।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বাইরে থেকে কেউ এসে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। এদেশে জনগণই অতীতে তাদের নিজেদের আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রশ্নের মীমাংসা করেছে, এখনও করবে। সেই সক্ষমতা তাদের আছে। কেউ তাদের অতীতে দাবিয়ে রাখতে পারেনি, এখনও পারবে না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি আর বৈষম্যের জনগণ উন্নয়নের সুযোগ ভোগ করতে পারছে না। রাষ্ট্র ও সমাজে বড় ধরনের বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভাজন আরো বিস্তৃত হচ্ছে ধর্মের রাজনীতিক ব্যবহারের কারণে। জামায়াত মওদুদীবাদী অনুসরণে ওহাবীবাদের চর্চার কারণে বাংলাদেশে ধর্মের উদার নৈতিক চরিত্রকে পাল্টে দিয়েছে। এসব চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছরের আগেই বাংলাদেশ উন্নয়ন দেশে পরিণত হবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর ন্যায়বিচারের বাংলাদেশকে চেনা যাবে না।
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন নারীমুক্তি সংসদের সভানেত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজেরা সুলতানা, কিশোর রায়, শাহানা ফেরদৌসি লাকী, সাদাকাত হোসেন খান বাবুল প্রমুখ।