মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- সুপ্রিয়ার শ্বশুর দিলীপ চন্দ্র সরকার, শাশুড়ি গীতা রাণী সরকার ও স্বামীর বন্ধু মহাদেব রায়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিষ্ণু পাল, সঞ্জিত সাহা রণ ও রঞ্জিত ঘোষ। আদালত সুপ্রিয়ার স্বামী দীপাঞ্জন সরকারকে খালাস দিয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের পূর্ব দাশড়া এলাকার সুকুমার সাহার মেয়ে সুপ্রিয়া সাহা স্থানীয় সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
২০১৬ সালের ৭ আগস্ট সদর উপজেলার কৈতরা গ্রামের দিলীপ সরকারের ছেলে দীপাঞ্জন সরকারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবে সুপ্রিয়ার বিয়ে হয়।
পূর্ব দাশড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন সুপ্রিয়া। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে নির্যাতন করত। ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ওই বাড়ি থেকেই গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় সুপ্রিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার রাতে সুপ্রিয়ার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা। একই বছরের ২৯ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ভোরের পাতা/কে